বৃহত্তর চট্টগ্রামের পাহাড় নদী খাল রক্ষায় ২৫টি কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলার নেটওয়ার্ক মেম্বারবৃন্দ। সুপারিশগুলোর অন্যতম–দ্রুত কর্ণফুলী নদীর সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, চট্টগ্রামের পাহাড়শুমারি, চট্টগ্রামের বিলুপ্ত ৩১ খাল আরএস সিট ম্যাপ অনুযায়ী উদ্ধার, চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানার ভরাটকৃত কালির ছড়া ও পটিয়ার নন্দীবাড়ি খাল উদ্ধার।
গতকাল মঙ্গলবার জিইসি মোড়স্থ একটি রেস্টুরেন্টে অ্যাডভোকেট মুজিবর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় চট্টগ্রাম কক্সবাজার, ফেনী, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ির মোট ২৬ জন নেটওয়ার্ক মেম্বার অংশগ্রহণ করেন।
মেম্বারদের সুপারিশ বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে বেলার কর্মকর্তা সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট এ এস এম মামুন বলেন, বর্তমানে বায়ু দূষণের শীর্ষে রয়েছে ঢাকা। সারা দেশেও বায়ু দূষণের মাত্রা সহনীয় পর্যায় অতিক্রম করেছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের পাহাড় নদী খাল রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে এই দেশ ধীরে ধীরে বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে। বেলা দেশের পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষায় দীর্ঘ ত্রিশ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আপনাদের প্রদত্ত সুপারিশগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে সম্ভাব্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সমন্বয় সভায় বক্তব্য রাখেন বেলা চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সমন্বয়ক মুনিরা পারভিন, সাংবাদিক আলীউর রহমান, উপস্থাপক দিলরুবা খানম, ফারমিন ইলাহি, সাংবাদিক ইব্রাহিম খলিল মামুন, মো. মুজিবুল হক প্রমুখ।
প্রদত্ত অন্যান্য সুপারিশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ফেনী নদী দখল করে গড়ে উঠা মৎস্য খামার উচ্ছেদ, হালদার রাবার ড্যাম উচ্ছেদ ও উজানে তাকাম চাষ বন্ধ করা, চুনতি অভয়ারণ্য সংরক্ষণে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ, পার্বত্য চট্টগ্রামের সংরক্ষিত বনাঞ্চল সংরক্ষণ ও বিলুপ্ত দেশীয় গাছের বন সৃষ্টি ইত্যাদি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।