ডেঙ্গুতে মৃত্যু ২শ ছাড়াল

দেশে একদিনে হাসপাতালে ৪৯০ জন

| শনিবার , ১২ অক্টোবর, ২০২৪ at ৬:৪৬ পূর্বাহ্ণ

এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে গত একদিনে দেশে দুজনের প্রাণ গেছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৪৯০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সব মিলিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০১ জনে। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৪০ হাজার ৮৯৫ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২২৫ জন। এছাড়া ঢাকা বিভাগে ১১২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৯ জন, খুলনা বিভাগে ৩৫ জন, রংপুর বিভাগে ছয়জন এবং বরিশাল বিভাগে ২৭ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। খবর বিডিনিউজের।

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৩ হাজার ৫২২ জন। ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে রয়েছেন ১ হাজার ৭৩৩ জন। ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে ভর্তি রয়েছেন ১ হাজার ৭৮৯ জন।

চলতি বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ২৩ হাজার ২৭৯ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলার। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৭ হাজার ৬১৬ জন। চলতি বছর ডেঙ্গু নিয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন গত সেপ্টেম্বর মাসে। ওই মাসে ১৮ হাজার ৯৭ জন হাসপাতালে ভর্তির পাশাপাশি ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর অক্টোবরের ১১ দিনে ৯ হাজার ৯৫৭ জন ভর্তি হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের।

এর আগে জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ১ হাজার ৫৫ জন্‌ এর মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে হাসপাতালে ভর্তি হন ৩৩৯ জন, মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। মার্চ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১১ জন, মারা গেছেন পাঁচজন। এপ্রিল মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫০৪ জন, মৃত্যু হয়েছে দুজনের। মে মাসে ৬৪৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। জুন মাসে ৭৯৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে আটজনের।

জুলাই মাসে ২ হাজার ৬৬৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হন, তাদের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যু হয়। আগস্টে ৬ হাজার ৫২১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল, যাদের মধ্যে ২৭ জনের মৃত্যু হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে এ রোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় ওই বছর।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৩৭ জন
পরবর্তী নিবন্ধসংস্কারের জন্য নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করবে বিএনপি