নগরীর জেএম সেন হলের পূজামণ্ডপে ইসলামী গান পরিবেশনের ঘটনায় চট্টগ্রাম পূজা উদ্যাপন পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি লায়ন আশীষ ভট্টাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেনকে অব্যাহতি দিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ। গতকাল সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক শচীন্দ্র নাথ বাড়ৈ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই অবাঞ্চিত ঘটনায় হিন্দু সমপ্রদায়ের মানুষ অত্যন্ত বেদনাহত হয়েছে। পূজা পরিষদ এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছে। এ ধরনের ঘটনা সুন্দর প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এ ব্যাপারে সরকার, সেনাবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সমাজকে এক হয়ে কাজ করতে হবে এবং দুর্বৃত্তদের প্রতিহত করতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরীর জে এম সেন হলে চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ আয়োজিত দুর্গা পূজার মহাসপ্তমীর আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে ‘চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি’ নামে একটি সংগঠন দুটি গান পরিবেশন করে। প্রথমে ‘গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান’ গান পরিবেশন করে তারা। পরে ‘শুধু মুসলমানের লাগি’ শিরোনামে আরেকটি গান গায়, যার গীতিকার ও সুরকার চৌধুরী আবদুল হালিম। ওই গান পরিবেশনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সেখানে হিন্দুদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। পরে সেনাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বাড়ানো হয়। ক্ষুব্ধ সনাতন ধর্মালম্বীরা সেখানকার সামনের সড়কে বিক্ষোভও করেন। রাতে মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি আশীষ ভট্টাচার্য মঞ্চে উঠে ঘটনার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত পূজা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সজল দত্তকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন।