বঙ্গোপসাগরে গত বুধবার ৬ মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির ঘটনায় লুট হওয়া মাছ পাচার সন্দেহে দুই ট্রাক ৭০/৮০ মনের বেশি ইলিশ ও সামুদ্রিক মাছ জব্দ করার পর মাছ আড়ৎদারের জিম্মায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে কোস্টগার্ড।
গতকাল বিকালে পিএবি সড়কের ঝিওরী মাজার গেট এলাকায় আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত ট্রলারের মালিকেরা কোস্টগার্ডের সহযোগিতায় এসব মাছ আটক করে। তবে কুতুবদিয়ার বাসিন্দা এমরান কোম্পানি ও এজহাব উদ্দিন জানান মাছগুলো সাগরে তাদের ট্রলারে ধরা পড়েছে। তারা দুটি ট্রাকে করে এসব মাছ বিক্রির উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে যাওয়ার সময় তারা এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার হন বলে জানান। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত মাছগুলো চট্টগ্রামের একটি মৎস্য আড়তদারের জিম্মায় রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আনোয়ারা গহিরা উপকূলীয় বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ডাকাতির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ট্রলার মালিক মো. ইদ্রীসের অভিযোগ, বঙ্গোপসাগরে আমাদের ট্রলার ডাকাতি হওয়ার পর আমাদের ট্রলার থেকে লুট করা মাছগুলো কোথায় কখন কারা নিয়ে যাচ্ছে আমারা বিভিন্ন মাধ্যমে লোক নিয়োগ করি তাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি গতকাল সকালে বাঁশখালী শেখেরখীল ঘাট থেকে একজন খবর দেয় আমাদের ট্রলার থেকে ডাকাতি হওয়া মাছগুলো দুটি ট্রাক করে শহরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরপর আমরা ঘটনাটি কোস্টগার্ডকে অবহিত করি। এরপর কোস্টগার্ড সহ গতকাল বিকালে আনোয়ারার ঝিওরী মাজার গেট এলাকার পিএবি সড়ক হতে ট্রাক দুটিকে আটক করি।
আটক হওয়া ট্রাকের সাথে থাকা কুতুবদিয়ার বোট মালিক এমরান কোম্পানি ও এজহাব উদ্দিন জানায়, মাছগুলো আমাদের ট্রলারে ধরা পড়ার পর কতুবদিয়া ১নং ইউনিয়নের মেরা কাটা ঘাট (উত্তরের ঘাট) থেকে এসব মাছ বিক্রি করতে চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে যাচ্ছি, পতিমধ্যে আনোয়ারার বোট মালিকরা আমাদের আটকায়। এই দুই ট্রাকে ৭০–৮০ মন ইলিশ মাছ, লইট্টা মাছ ও অন্যান্য সাগরের মাছ রয়েছে। আনোয়ারার মৎস্যজীবিদের অভিযোগ, বর্তমান এ মৌসমে সাগরে একটি ট্রলারে ৫/৬ মন বেশির মাছ ধরার রেকর্ড নেই, সেই খানে দুইটি ট্রলারে ৭০/৮০ মন মাছ ধরার ঘটনা অবাস্তব এসব মাছ আমাদের ট্রলার থেকে লুট করা হয়েছে। দুই পক্ষের অভিযোগ আর পাল্টা অভিযোগের পর মাছের মালিকানা নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষ আড়ৎদারের জিম্মায় রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাঙ্গু কোস্ট গার্ড সিসি নজরুল ইসলাম জানান, যেহেতু সাগরে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আমরা উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনেছি, এ বিষয়ে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে মাছের প্রকৃত মালিকানা নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত মাছগুলো অবিক্রিত থাকবে (আড়তে জমা থাকবে)। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।