বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে মাছ ধরতে যাওয়া বাংলাদেশি ফিশিং ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেছে মিয়ানমারের নৌ বাহিনী। এতে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও ৩ জেলে। এ ছাড়া এ ঘটনায় ৪টি ট্রলারসহ একাধিক জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দাদের মালিকানাধীন ট্রলারে এ ঘটনা ঘটে। পরে বৃহম্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে অপহরণকৃতদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রলার মালিকরা। তাদের টেকনাফ পৌঁছাতে ৪ ঘণ্টার বেশি সময় লাগবে।
নিহত মো. ওসমান শাহপরীর দ্বীপের কোনারপাড়া এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে। তিনি শাহপরীর দ্বীপের বাজারপাড়া এলাকার সাইফুল কম্পানির মালিকাধিন ট্রলারের জেলে। আহত ৩ জেলেও ওই ট্রলারের। তবে তাদের নাম ঠিকানা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ট্রলার মালিকরা জানিয়েছেন, বুধবার দুপুরে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ পশ্চিমের মৌলভীর শিল নামের বঙ্গোপসাগরের মোহনায় এই ঘটনা ঘটে।
ধরে নিয়ে যাওয়া ৪টি ট্রলারের মালিকরা হলেন শাহপরীর দ্বীপের মিস্ত্রীপাড়ার মুসলিম মিয়ার ছেলে মতিউর রহমান, মৃত আলী হোছেনের ছেলে আবদুল্লাহ, তার ভাই আতা উল্লাহ, উত্তরপাড়ার ছৈয়দ মাঝির ছেলে মো. আছেম। এই ৪টি ট্রলারে ৬০ জন মাঝি-মাল্লা রয়েছে।
ট্রলার মালিক সাইফুল বলেন, সাগরে মাছ ধরার সময় হঠাৎ করে মিয়ানমারের নৌ বাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া করে গুলিবর্ষণ করে। এরপর ৫টি ট্রলারসহ মাঝি-মাল্লাদের ধরে নিয়ে মিয়ানমারে নিয়ে যায়। যেখানে তার মালিকানাধীন ট্রলারে গুলিবিদ্ধ ৪ জনের মধ্যে একজন মারা যান। বৃহস্পতিবার ওই ট্রলারটি ছেড়ে দিয়েছে। নিহত এবং আহত জেলেদের নিয়ে ট্রলারটি শাহপরীর দ্বীপের উদ্দেশ্যে যাত্রা দিয়েছে। তবে এখনও ঘাটে এসে পৌঁছেনি। ট্রলার মালিক মতিউর রহমান জানান, ধরে নিয়ে যাওয়া ট্রলার ও মাঝি-মাল্লাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। নিহতকে নিয়ে ট্রলারটি ঘাটে পৌঁছলে বিস্তারিত জানা যাবে।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, বিষয়টি নানাভাবে শুনেছি। এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ চলছে।