আইন–শৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ে রদবদলের অংশ হিসেবে পুলিশের আরও তিনজন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। এই তিনজন হলেন র্যাবের সদ্য সাবেক মহাপরিচালক পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজি ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ, হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজি শাহাবুদ্দিন খান এবং ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার (সংখ্যাতিরিক্ত অতিরিক্ত আইজি পদে পদোন্নতি পাওয়া) ড. খ. মহিদ উদ্দিন। গতকাল বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইনের ৪৫ ধারা অনুযায়ী জনস্বার্থে তাদের চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হয়েছে। এই ধারা বলে চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হলে সরকার চাইলে কারণ দর্শানো ছাড়াই প্রজাতন্ত্রের কোনো কর্মচারীকে চাকরি থেকে অবসর দিতে পারে।
চাকরি হারানো কেউ কোনো আপিলও করতে পারেন না। তবে পেনশনসহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হয়। খবর বিডিনিউজের। এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয় ছয় জনকে। তারা হলেন, অতিরিক্ত আইজি দেবদাস ভট্টাচার্য ও আরআরএফের পুলিশ সুপার মীজানুর রহমান, শিল্পাঞ্চল পুলিশের ডিআইজি (সুপার নিউমারারি অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) এ কে এম হাফিজ আক্তার, রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের টেলিকমের ডিআইজি (সুপারনিউমারারি অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) বশির আহম্মদ, ঢাকা মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার শামীম অর রশীদ তালুকদার, এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম এবং ডিএমপির সহকারী পুলিশ সুপার মো. দাদন ফকির। তার আগে ২২ আগস্ট বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয় পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজি মোহাম্মদ আলী মিয়া, শিল্পাঞ্চল পুলিশের প্রধান (অতিরিক্ত আইজি) মো. মাহাবুবর রহমান এবং পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্রকে। ২১ আগস্ট পুলিশের সদরের অতিরিক্ত আইজি আতিকুল ইসলাম, সংখ্যাতিরিক্ত অতিরিক্ত আইজি হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত আনোয়ার হোসেন এবং ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিআইজি পদমর্যাদার) মো. আসাদুজ্জামানকে অবসরে পাঠানো হয়।