১৯৯২ সাল থেকে প্রতি বছরই ১০ অক্টোবর দিনটিকে মানসিক স্বাস্থ্য দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আমাদের দেশে মানসিক সুরক্ষা আইন থাকলেও এর সঠিক বাস্তবায়ন নেই। এ আইনের মাধ্যমে মানসিক রোগে আক্রান্ত নারী–পুরুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ ও চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। এর আগে ১৯১২ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে প্রণীত দ্য লুনাসি এ্যাক্টে’র মাধ্যমে এ সংক্রান্ত বিষয়ের বিবাদ নিষ্পত্তি করা হতো, যা বাংলায় পাগল আইন হিসেবে পরিচিত ছিল। দীর্ঘ ১০৪ বছর পর সরকার নতুন আইন প্রণয়ন করে। আইন কমিশনের সূত্র মতে, ১৯৮৭ সালে ভারত এই আইন পরিবর্তন করে মানসিক স্বাস্থ্য আইন এবং পাকিস্তান ২০০১ সালে মানসিক স্বাস্থ্য অর্ডিন্যান্স জারি করে। বাংলাদেশে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট উদ্যোগ নিলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বাত্মক সহযোগিতায় দুই বছর এই আইনটি নিয়ে কাজ করেন তারা। ভর্তি বিষয়ে বলতে গেলে মানসিক স্বাস্থ্য আইন ২০১৮ এর ১১ (১) ধারায় মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছায় ভর্তি, অপ্রতিবাদী রোগী ভর্তি এবং অনিচ্ছাকৃত রোগী ভর্তি প্রযোজ্য হবে। সেক্ষেত্রে অভিভাবক অথবা আত্নীয়ের আবেদন ও চিকিৎসার সম্মতিক্রমে ভর্তি করানো যাবে, তবে শর্ত থাকে যে, নাবালক রোগী ভর্তির ক্ষেত্রে অভিভাবক বা আত্মীয়ের নিকট হতে চিকিৎসার সম্মতি গ্রহণ করতে হবে। ১১ (২) ধারায় ভর্তির লক্ষ্যে আগত রোগীকে ধারা ১২ ধারায় বর্ণিত ২৪ ঘণ্টা বা আদালত কর্তৃক নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে পরীক্ষার পর দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার বা মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ নির্ধারিত ফরম পূরণপূর্বক মেডিক্যাল সার্টিফিকেট প্রদান করবে। এই আইনের ১৩ ধারায় বর্ণিত অপ্রতিবাদী রোগী ভর্তির ও মেয়াদের যৌক্তিকতা মানসিক স্বাস্থ্য রিভিউ ও মনিটরিং কমিটি ২৮ (আটাশ) দিবস অন্তর অন্তর পুনর্বিবেচনা করবে। রোগীর ছাড়পত্র প্রদানে ১৬ ধারায় ভর্তিকৃত রোগীর ছাড়পত্র প্রদান প্রক্রিয়ায় বলা হয় যে স্বেচ্ছায়, অপ্রতিবাদী এবং অনিচ্ছুক ভর্তি মানসিক রোগীকে সুস্থ হবার পর দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসারের অনুমতিক্রমে ছাড়পত্র প্রদান করবে যাহা বিধি দ্বারা নির্ধারিত। মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে অভিভাবক বা আত্মীয়বিহীন বা ঠিকানাবিহীন মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির সুস্থতার পর সংশ্লিষ্ট মানসিক হাসপাতাল তাহার সুস্থতার ছাড়পত্রসহ উক্ত ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট জেলার অথবা নিকটতম সমাজসেবা প্রতিষ্ঠানে অথবা পুনর্বাসন কেন্দ্রে স্থানান্তর করবে এবং উক্ত ব্যক্তির সুস্থতা পরবর্তী চিকিৎসা সেবা সংশ্লিষ্ট মানসিক হাসপাতাল প্রদান করবে। ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত মানসিক রোগী ভর্তির ক্ষেত্রে ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত মানসিক রোগী রিসেপশন অর্ডারের ভিত্তিতে ভর্তি থাকবে। উল্লেখ্য যে ১৫ ধারায় ‘রিসেপশন’ অর্ডার বলতে ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত বা দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি এবং আবদ্ধ করে রাখার উদ্দেশ্যে ম্যাজিস্ট্রেট প্রদত্ত আদেশকে বুঝাবে। মানসিক স্বাস্থ্য আইন ২০১৮ এর ১৬ ধারা বলা হয় স্বেচ্ছায়, অপ্রতিবাদী এবং অনিচ্ছুক ভর্তি মানসিক রোগীকে সুস্থ হওয়ার পর দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসারের অনুমতিক্রমে ছাড়পত্র প্রদান করা হবে। মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসার অধিকার সম্পর্কে ১৭ ধারায় বলা হয় অভিভাবক বা আত্মীয়বিহীন বা ঠিকানাবিহীন মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট এলাকার এখতিয়ার সম্পন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি নিকটতম সরকারি মানসিক হাসপাতাল প্রধানের নিকট হস্তান্তর করবে। আবার কোনো ব্যক্তি মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত বলে ধারণা করার কারণ থাকলে এবং মানসিক অসুস্থতার কারণে উক্ত ব্যক্তিকে বিপজ্জনক বলে মনে করার কারণ থাকলে স্থানীয় অধিক্ষেত্রের পুলিশ অফিসার তাকে স্বীয় জিম্মায় গ্রহণ করে নিকটতম মানসিক হাসপাতালে প্রেরণ করবে। উক্ত আইন অনুযায়ী হস্তান্তরিত মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট মানসিক হাসপাতাল অনতিবিলম্বে উপযুক্ত চিকিৎসা প্রদানপূর্বক প্রমাণক কাগজপত্রের অনুলিপি সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় অধিক্ষেত্রের থানাকে সরবরাহ করবে। অভিভাবক বা আত্মীয়বিহীন বা ঠিকানাবিহীন মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির সুস্থতার পর সংশ্লিষ্ট মানসিক হাসপাতাল তার সুস্থতার ছাড়পত্রসহ উক্ত ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট জেলার অথবা নিকটতম সমাজসেবা প্রতিষ্ঠানে অথবা পুনর্বাসন কেন্দ্রে স্থানান্তর করবে। মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির অভিভাবক বা আত্মীয় উক্ত ব্যক্তির মানসিক অবস্থা নিরূপণের জন্য আদালতে আবেদন করতে পারবে। আবেদন প্রাপ্তির পর আদালত দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসারকে সময়সীমা নির্ধারণপূর্বক মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত হিসাবে অভিযুক্ত ব্যক্তির মানসিক অক্ষমতা চিহ্নিত ও যাচাই করিয়া প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদেশ প্রদান করবে। মেডিক্যাল অফিসার অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নির্ধারিত সময় ও স্থানে হাজির করবার জন্য আবেদনকারীসহ সংশ্লিষ্টকে নোটিশ প্রদান করবে। তবে শর্ত থাকে যে, অভিযুক্ত ব্যক্তি মহিলা হইলে এবং ধর্ম বা প্রথানুযায়ী জনসম্মুখে উপস্থিত হবার বাধা থাকিলে, আদালত সুবিধাজনক স্থানে তাকে পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে। মেডিক্যাল অফিসার প্রতিবেদন দাখিল করলে আদালত অভিযুক্ত ব্যক্তির মানসিক সুস্থতা এবং সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের সক্ষমতার বিষয়ে আদেশ প্রদান করবে। মানসিক স্বাস্থ্য আইন ২০১৮ তে বলা হয় মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর ও সম্পত্তির অভিভাবক হবে তার পিতা বা মাতা। মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির পিতা ও মাতার অবর্তমানে তার আত্মীয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত উপযুক্ত ব্যক্তিকে অভিভাবক নিযুক্ত করবে। মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির মানসিক অক্ষমতার কারণে অথবা অন্য কোনো কারণে তাহার সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণে সক্ষম না হন, সেইক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার তার অভিভাবক বা আত্মীয়কে সম্পত্তির ক্ষতির সম্ভাবনা সম্পর্কে অবহিত করলে আক্রান্ত ব্যক্তির অভিভাবক বা আত্মীয় যেকোনো ব্যবস্থা গ্রহণে অনীহা প্রকাশ করিলে দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার আদালতের নিকট উক্ত সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ব্যবস্থাপক নিয়োগের আবেদন করার ব্যবস্থা করবে। মানসিক স্বাস্থ্য আইন ২০১৮ তে মেডিক্যাল অফিসারের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তি তার সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণে অক্ষম, এবং তার পিতা বা মাতা জীবিত নাই, তাহলে আদালত একজন উপযুক্ত ব্যক্তিকে অনধিক ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদে ব্যবস্থাপক নিযুক্ত করবে। উল্লেখ্য যে ব্যবস্থাপক দায়িত্ব গ্রহণের ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব ও তালিকা আদালতে পেশ করিবে। উক্ত আইনের ২৩ ধারায় বলা হয় মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত পেশাজীবী হিসাবে কোনো ব্যক্তি মানসিক অসুস্থতা সম্পর্কিত বিষয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা সার্টিফিকেট প্রদান করিলে অনধিক ৩ (তিন) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা ১ (এক) বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। মানসিক স্বাস্থ্য আইন ২০১৮ তে শাস্তি সম্পর্কে বলা হয় অভিভাবক বা ব্যবস্থাপক মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা বা সম্পত্তির তালিকা প্রণয়ন বা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে অবহেলা বা আদালতের কোনো নির্দেশ বাস্তবায়ন না করিলে অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে বা ৩ (তিন) বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। আবার কোনো ব্যক্তি এই আইনের বিধি লঙ্ঘন বা লঙ্ঘনে সহযোগিতা বা প্ররোচনা বা আইনে প্রতিপালনযোগ্য বিষয়াদি বা সরকারের কোনো আদেশ বা নির্দেশ প্রতিপালন না করা বা প্রতিপালন না করায় সহযোগিতা বা বাধা প্রদান করিলে উক্ত ব্যক্তি অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে বা ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। এই আইনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় নিপতিত ও মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির অধিকার সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ধারার ক্ষমতাবলে একজন মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তি যেসব অধিকার পাবেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, প্রকৃতিস্থ সময়ে সর্বক্ষেত্রে সমান আইনী সুবিধা পাওয়া, মানসিক অসুস্থ হওয়া অথবা মানসিক অক্ষমতা ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কারণে নাবালক, মহিলা, সংখ্যালঘু এবং অভিবাসী ব্যক্তিদের বৈষম্যের শিকার না হওয়া, উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্য সম্পত্তির অংশীদারিত্ব, স্বাধীন অভিব্যক্তি ও মত প্রকাশ এবং বোধগম্য উপায়ে তথ্য প্রাপ্তি, প্রাক প্রাথমিক হতে শুরু করে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত মূলধারার শিক্ষার সব স্তরে অধ্যয়ন এবং সর্বস্তরে একীভূত শিক্ষায় অংশগ্রহণ, মানসিক চিকিৎসা গ্রহণের প্রয়োজনে কর্মক্ষেত্রে কর্মঘণ্টা শিথিলকরণের সুবিধাপ্রাপ্তি। একই অধ্যায়ের একটি ধারায় একজন মানসিক রোগীর আরও যেসব সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে, মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি নারী হলে পর্যাপ্ত গোপনীয়তা এবং পুরুষদের থাকার জায়গা থেকে পৃথক স্থানে অবস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে, যৌন বা শারীরিক নিপীড়ন থেকে রক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত এবং প্রসবোত্তর সেবা নিশ্চিত করতে হবে। আইনটি দেশের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য সূরক্ষা দিতে যুগোপযোগী নয়। এটা আরো আধুনিক ও উন্নত বাস্তব সম্মত করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ জাতিসংঘের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার বিষয়ক কনভেনশনের সদস্য রাষ্ট্র। এই কনভেনশনের অধীনে রাষ্ট্রসমূহের ওপর নানাবিধ বাধ্যবাধকতা আরোপিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিচার ব্যবস্থার সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়িত্ব, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের এবং তাদের সহায়তাকারীদের সহায়তার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি গ্রহণ এবং প্রতিবন্ধিতা সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সাধারণ বাধ্যবাধকতা। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে মানসিক স্বাস্থ্য খাতটি সবচেয়ে উপেক্ষিত থেকে গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর ‘মানসিক স্বাস্থ্য সিস্টেম মূল্যায়ন যন’্ত্র সমীক্ষায়’ দেখা গেছে যে, বাংলাদেশে মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে পর্যালোচনা করার জন্য কোনো মানবাধিকার পর্যালোচনা কমিটি নেই। সমতা ও বৈষম্যহীনতার নীতিমালা বজায় রাখার জন্য, আইনে একটি স্পষ্ট বিধান থাকা উচিত যে মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা চিকিৎসার সময় শারীরিকভাবে অসুস্থ রোগীদের মতোই একই মানের যত্ন পাওয়ার অধিকার রাখবেন, যার মধ্যে জরুরি সেবা, অ্যাম্বুলেন্স সেবা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তাছাড়া, রোগী বা তার অভিভাবকের চিকিৎসার সব দিক সম্পর্কে জানার অধিকার থাকা উচিত, যার মধ্যে চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কিত তথ্যও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য কর্মসূচি দেশের সকল জেলায় গৃহীত হলে, আইনের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হতে পারে। এই সমস্ত উদ্বেগগুলি যদি সন্তোষজনকভাবে সমাধান করা হয়, তবেই বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা থাকা ব্যক্তিদের অধিকার যথাযথভাবে সংরক্ষিত হবে।
লেখক: আইনবিদ, কলামিস্ট, মানবাধিকার ও সুশাসন কর্মী।