চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড থানাধীন বড় কুমিরা এলাকার একটি স্টিলমিল লিমিটেডের ২৫ লাখ টাকা ঢেউটিন ২৪ হাজার টাকার বিনিময়ে বরিশালে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি ট্রাক চালকের সাথে চুক্তি করে এম. আলম ট্রান্সপোর্ট নামে একটি এজেন্সি।
চুক্তিমতে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য টিনগুলো নিয়ে যাত্রা করে ট্রাকটি। কিন্তু ঢেউটিনগুলো ঠিক সময়ে পৌঁছেনি বরিশালের শরীফ এন্ড সন্স নামে ওই গ্রাহক প্রতিষ্ঠান কাছে। আর বন্ধ পাওয়া যায় ট্রাক ড্রাইভারের মোবাইল ফোনও। কোন হদিস মিলছিলনা ঢেউটিনগুলোর।
পরে নিরুপায় হয়ে সীতাকুন্ড থানায় এ ব্যাপারে একটি মামলা দায়ের করেন চট্টগ্রামের এম. আলম ট্রান্সপোর্ট ম্যানেজার মোঃ রুবেল হাওলাদার।
সীতাকুন্ড থানা পুলিশ কোন সুরহা করতে না পারলে ভুক্তভোগী দ্বারস্থ হয় পিবিআই জেলা পুলিশের কাছে। অবেশেষে ৪৮ ঘন্টার অভিযানে চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পিবিআই, চট্টগ্রাম জেলা। তাদের একাধিক সদস্য রয়েছে। তারা লোড আনলোড চক্রের সক্রিয় সদস্য। পরিবহনের নামে অন্যের মালামাল আত্মসাৎ করে তারা।
আজ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার শেখ জয়নুদ্দিন।
তিনি বলেন, কোন অপরাধ আমাদের ছোট নয়। যেকোন বিষয় নিয়ে যে কেউ অভিযোগ বা মামলা করলে আমরা তা খুবই গুরুত্বের সাথে দেখি। এই মামলার ক্ষেত্রেও অভিযোগ পেয়ে দ্রুত অভিযান শুরু করি। আমরা ৪৮ ঘন্টার সফল অভিযানে চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহাদাত বলেন, ঘটনাস্থলে সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় আসামী সনাক্ত এবং ঢেউটিনগুলো উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। অভিযানে অনেক বাধা অতিক্রম করতে হয়েছে। তবে ভালো লাগছে অবশেষে সফল হয়েছি। ভুক্তভোগীর মুখে হাসি ফুটাতে ফেরেছি।
বাদী মোঃ রুবেল হাওলাদার বলেন, এই ঘটনায় প্রথমে সীতাকুন্ড থানার দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু থানা কর্তৃপক্ষ তেমন সহায়তা করতে পারেননি।
তবে পিবিআই এর কাছে অভিযোগ জানানোর পর তারা আমাদের মালগুলো উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। আগে থেকে পিবিআই কাছে আমাদের বিশ্বাস ছিল তারা টিনগুলো উদ্ধার করতে পারবেন।