বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীসহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় একটি মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে মো. বেলাল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। তিনি পেশায় সাংবাদিক।
মামলায় সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ছাড়াও বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ গালীব সাদলী (৪৬), চাম্বল ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী (৫২), বাঁশখালীর সাবেক পৌর মেয়র তোফায়েল বিন হোছাইন (৪৮), শীলকূপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কায়েস সরওয়ার সুমন (৪৩), ছনুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. হারুনুর রশীদসহ ৬৭ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। মামলায় ১০০/১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৬টি মামলায় আসামি করা হয় সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগস্ট বেলাল উদ্দিনসহ ছাত্র জনতা শেখেরখীল রাস্তার মাথার মোড়ে দুপুর ২টার সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ব্যানারে অবস্থান নেন। সেখান থেকে যাত্রা শুরু করলে চেয়ারম্যান ঘাটার সামনে আসামিরা নিরস্ত্র ছাত্রজনতার উপর ইট পাটকেল ও অবিরত গুলিবর্ষণ করতে থাকে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। দুইদিক থেকে আসামিরা অতর্কিত আক্রমণ করে শত শত ছাত্র জনতাকে ধারালো অস্ত্র ও লাঠি সোটা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে বেধড়ক মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। আসামিগণের ছোড়া ছররা গুলিতে শেখেরখীল ৪ নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে শাকের উল্লাহ (২৫) গুরুতর জখম হয়। তিনি মাটিতে পড়ে গেলে আসামিরা লাঠি ও লোহার রড নিয়ে ভুক্তভোগীকে মারধর করে।
মামলার বাদী বেলাল উদ্দিন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী শাকের উল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করেছে। শাকের উল্লাহ ও তার স্বজনদের অনুমতি নিয়ে আমি বাদী হয়ে মামলা করেছি।
বাঁশখালী থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগী শাকের উল্লাহর পক্ষ থেকে বেলাল নামে এক ব্যক্তি মামলা দায়ের করেছেন।