দেশের ঘরোয়া ফ্রাঞ্জাইজি ক্রিকেটের সবচাইতে বড় আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) মাঠে গড়াতে আর খুব বেশি দেরি নাই। এরই মধ্যে টুর্নামেন্টটি শুরুর দিনক্ষণ ঠিক হয়ে গেছে। আগামী ১৩ এবং ১৪ অক্টোবর বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটের তারিখ নির্ধারণ করা আছে। গতকাল বসেছিল বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভা। আর সে সভায় এবারের বিপিএলেল সাতটি দল চুড়ান্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। কারণ চট্টগ্রাম দল খেলবে কিনা তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। গতকাল ছিল দলগুলোর অর্থ জমা দেওয়ার শেষ দিন। কিন্তু শেষ দিনেও বিসিবিতে সে অর্থের পুরোটা জমা দিতে পারেনি চট্টগ্রাম ফ্যাঞ্জাইজি মালিক। বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের সভায় সাত দলের পরিবর্তে ছয় দল নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরুর ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। বিসিবির পরিচালক মনজুর আলম মঞ্জু বলেন চট্টগ্রামকে বাদ দিয়ে বিপিএল করলে সেটা দেখতে ভাল লাগবে না। তাছাড়া চট্টগ্রামে খেলা হবে অথচ চট্টগ্রাম দল থাকবে না সেটা কেমন দেখায়। তখন আমরা প্রত্যাশিত দর্শক পাবনা। ফলে শেষ পর্যন্ত দল চূড়ান্ত হওয়ার ঘোষণাটা দেওয়া হয়নি।
এদিকে বিপিএলেল শুরু থেকেই খেলা চট্টগ্রাম কিংস এবারে আবার চট্টগ্রাম ফ্রাঞ্জাইজির দায়িত্বে ফিরেছে। দলটির ওনার সামির কাদের চৌধুরী গতকাল জানান, তারা অর্থ জমা দেওয়ার জন্য দু/একদিন সময় বাড়ানোর আবেদন করে বিসিবি বরাবর একটি চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু চিটি প্রাপ্তির ব্যাপারে বিসিবি গতকাল বিকেল পর্যন্ত তাদের কিছু জনায়নি। তিনি বলেন আমরা আবার বিপিএলে ফিরতে চাই। তবে আমাদের একটু সময় লাগছে গুছিয়ে নিতে। তিনি এখনো আশাবাদি তার দল এবারের বিপিএলে খেলবে। আর সে জন্যই হয়তো ক্রিকেট বোর্ড একটু সময় নিচ্ছে। যদিও প্লেয়ার্স ড্রাফটসহ নানা কর্মকাণ্ডের সময় খুব বেশি নেই। তাই ক্রিকেট বোর্ডও চায় চট্টগ্রাম ফ্রাঞ্জাইজি মালিক যেন দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বিপিএলের শুরু থেকে চট্টগ্রাম দল অংশ নিয়ে আসছে। প্রথম দুই আসরে এই দলটির মালিক ছিলেন সামির কাদের চৌধুরী। কিন্তু দ্বিতীয় আসরে তার দলকে জোর করে বিদায় করে দেওয়া হয়। তখনকার বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের বিপক্ষে আদালতেও গিয়েছিলেন তিনি। রায়ও পেয়েছিলেন। কিন্তু বাহুর জোরে তাদের খেলতে দেওয়া হয়নি। এরপর চট্টগ্রাম ফ্রাঞ্জাইজির মালিকানা গ্রহণ করে ডিবিএল গ্রুপ। তখন দলটির নাম ছিল চিটাগাং ভাইকিংস। তারাও কয়েক আসর পর আর দল পরিচালনা করেনি। এরপর চট্টগ্রাম দলের দায়িত্ব নেয় আখতার গ্রুপ। তারা দলটির নাম দেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। গত আসর পর্যন্ত তারা এই দলটি পরিচালনা করে। তবে এবারে দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আবার চট্টগ্রাম দলের মালিকানায় ফিরে আসে সামির কাদের চৌধুরী। চট্টগ্রামের বিখ্যাত কাদের পরিবারের ক্রিকেট পাগল এই তরুণ আবার চট্টগ্রাম দলকে আলোয় ফেরাতে চান। প্রথম আসরে বিশ্ব ক্রিকেটের বরপুত্র ব্রায়ান লারার মত সেলিব্রেটিকে এনে বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন সামির কাদের চৌধুরী। এবারেও চট্টগ্রামের মানুষ আশা করছে তারা চট্টগ্রাম দলটিকে আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফেরাবেন।