আইআইইউসির ভারপ্রাপ্ত ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আজাদী বলেছেন, আইনের বিধান সমুন্নত রাখার জন্য আইন শিক্ষার্থীদের নৈতিকভাবে বলিয়ান হতে হবে। সত্যবাদিতা ও সততাকে জীবনের পাথেয় করলে নৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হওয়া সম্ভব। কোট–কাচারী গুলোকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যদি আয়নাঘর বানানো হয়, তাহলে সেখানে কিছুই করার থাকে না। ভবিষ্যতে এইসব বন্ধ করে সত্যিকারের আইনকে প্রয়োগ করার জন্য আইন শিক্ষার্থীদের উপর মহান দায়িত্ব রয়েছে।
তিনি গতকাল সোমবার আইআইইউসির আইন বিভাগের এলএল.এম.প্রোগ্রামের স্প্রিং সেমিস্টার ২০২৪ এর নতুন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন ও কোর্স সমাপ্তকারী শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে
একথা বলেন। বিভাগের অ্যাডভাইজার প্রফেসর মোরশেদ মাহমুদ খানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য অধ্যাপক আহসান উল্লাহ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মহি উদ্দিন, চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক আবদুল মালেক, সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ কলিম উল্লাহ,ল এলামনাই এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট আশরাফ সিদ্দিকী, শিক্ষাথীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উম্মে হানী, মাসুদ আলম বিপ্লব এবং জসিম উদ্দিন মজুমদার।
প্রধান অতিথি বলেন, বিচারকের কাঠগড়ায় দাড়িয়ে সত্য কথা বলার সুযোগ এতদিন ছিল না, এখন সে সুযোগ এসেছে। এই সুযোগ যারা হরণ করে তাদের পরিণতি হয় অত্যন্ত ভয়াবহ। একসময় জামিন নেওয়ার জন্য কিংবা ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য বিচারকের সাথে চুক্তি করতে হতো, যার থেকে লজ্জার আর কিছু হতে পারে না। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যদি থেকে ভালোভাবে পড়ালেখা শেষ করেন, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে মানবসেবায় নিজেকে আত্ননিবেদিত করতে পারবেন। বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য অধ্যাপক আহসান উল্লাহ বলেন, বিগত সরকার বিচার ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। বিচার ব্যবস্থাকে সংশোধন করা এখন আমাদের অন্যতম দায়িত্ব। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা এখন আমাদের অন্যতম গুরুত্তপূর্ণ কর্তব্য। তিনি বিগত দিনের কথা স্মরণ করে বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের বহু শিক্ষার্থী আজ কোর্টে আইনজীবী হিসেবে সফল পদচারণা করছেন। বিগত দিনে আইনজীবী সমিতির নির্বাচনেরও অনেকে জোড়ালো ভূমিকা রেখেছেন, জয়ী হয়েছেন, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।