এক বছরের মাথায় বাংলাদেশ রেলওয়ের নতুন ওয়ার্কিং টাইম টেবিল (ডব্লিউটিটি) প্রবর্তন হতে হচ্ছে। চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর রেলওয়ে নতুন সময়সূচি প্রণয়ন করেছিল। নতুন ওয়ার্কিং টাইম টেবিল–৫৩ চালু হওয়ার পর বেশ কিছু ট্রেনের ভ্রমণ সময় কমিয়ে আনা হয়েছিল। এখন এক বছরের মাথায় নতুন করে বাংলাদেশ রেলওয়ে ওয়ার্কিং টাইম টেবিল–৫৪ প্রবর্তন করতে যাচ্ছে। এর ফলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বেশ কিছু ট্রেনের ভ্রমণ সময় কমিয়ে আনা হবে। একই সাথে নতুন টাইম টেবিলে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রুটে অস্থায়ীভাবে চলাচলরত ‘স্পেশাল ট্রেনটি’ স্থায়ীভাবে চলাচলের সময়সূচি নির্ধারিত হবে বলে জানান পরিবহন বিভাগের এক কর্মকর্তা। আগামী দুই–আড়াই মাসের মধ্যে নতুন সময়সূচি প্রণয়নের কথা জানিয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট কামাল আখতার হোসেন। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন সময়সূচি চালু হতে পারে বলে রেল ভবনের একটি সূত্র জানিয়েছে।
এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম রেল স্টেশন ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান আজাদীকে বলেন, রেলওয়ের নতুন টাইম টেবিল প্রণয়নের কাজ চলছে। এতে ঢাকা–চট্টগ্রাম, ঢাকা–কঙবাজারসহ বেশ কিছু ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন হতে পারে।
প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট সময়ে রেলওয়ের নতুন সময়সূচি প্রণয়নের কথা রয়েছে। কিন্তু রেলের–৫২ ওয়ার্কিং টাইম টেবিল ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি চালু হওয়ার প্রায় চার বছর পর চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর ডব্লিউটিটি–৫৩ চালু করে রেলওয়ে পরিবহন বিভাগ। এবার ওয়ার্কিং টাইম টেবিল–৫৩ চালুর এক বছরের মধ্যে নতুন সময়সূচি প্রবর্তন করতে যাচ্ছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পরিবহন বিভাগ। নতুন ডব্লিউটিটি–৫৪ চালু হলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ঢাকা–চট্টগ্রাম, ঢাকা–চট্টগ্রাম–কঙবাজার, চট্টগ্রাম–সিলেট, চট্টগ্রাম–কঙবাজারসহ বিভিন্ন রুটে বেশ কিছু ট্রেনের ভ্রমণ সময় কমিয়ে আনা হবে বলে জনিয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তারা।
এই ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট কামাল আখতার হোসেন আজাদীকে জানান, রেলের নতুন টাইম টেবিল পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। দুই–আড়াই মাসের মত লাগতে পারে। রেলওয়ে ওয়ার্কিং টাইম টেবিল–৫৪ এ চট্টগ্রাম থেকে কঙবাজার রুটে চলাচলরত ‘স্পেশাল ট্রেনটি’ স্থায়ীভাবে চলাচলের সময়সূচি নির্ধারন হবে। নতুন টাইম টেবিলে চট্টগ্রাম–কঙবাজার রুটের স্পেশাল ট্রেনটি স্থায়ীভাবে চলবে। তার নতুন নাম দেয়া হবে রেল ভবন থেকে। নতুন টাইম টেবিল প্রণয়নের আগে ডিজি মহোদয় পূর্বাঞ্চল–পশ্চিমাঞ্চলের কর্মকর্তাদের নিয়ে রেল ভবনে মিটিং করেন। সেখানে ট্রেনের সময়সূচি নিয়ে বিভিন্ন পক্ষ থেকে যেসব সুবিধা–অসুবিধার কথা জানানো হয়–সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়। এরপর ট্রেনের সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়। কোন ট্রেন কোন সময়ে দিলে যাত্রীদের সুবিধা হয়–সেই বিবেচনা করেই নতুন টাইম টেবিল প্রণয়ন করা হয়।