পূজার ছুটিতে ঢাকা থেকে চলবে এক জোড়া বিশেষ ট্রেন

কক্সবাজার রুট ।। চট্টগ্রাম থেকে যাত্রী ওঠানামার সুযোগ নেই

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ৫ অক্টোবর, ২০২৪ at ৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ

আগামী ১৩ অক্টোবর রোববার শারদীয় দুর্গা পূজার বিজয়া দশমীর সরকারি ছুটি। এর আগে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক সরকারি ছুটি থাকায় তিনদিনের ছুটি যুক্ত হয়েছে। এই তিনদিনের ছুটিতে সারাদেশের মানুষের মাঝে পর্যটন নগরী কক্সবাজার ভ্রমণে কক্সবাজারগামী ট্রেনের চাহিদাও বেড়েছে।

যাত্রীদের এই চাহিদার কথা বিবেচনা করে আগামী ১০ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ রেলওয়ে ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী নিয়মিত দুই জোড়া ট্রেনের পাশাপাশি আরো এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশেষ ট্রেনটি আগামী ১০ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত চারদিন ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাত্রী পরিবহন করবে।

এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম স্টেশন ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান আজাদীকে বলেন, বিশেষ ট্রেনটি ১০ অক্টোবর রাত ১১টায় ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছাড়বে। পরদিন ট্রেনটি ভোর ৪টায় চট্টগ্রাম পৌঁছাবে। চট্টগ্রামে ইঞ্জিন পরিবর্তন করে ৪টা ২০ মিনিটে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে এটি কক্সবাজারে পৌঁছাবে। এভাবে ট্রেনটি ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকা থেকে কক্সবাজারে যাত্রী পরিবহন করবে। ট্রেনটি প্রতিদিন কক্সবাজার থেকে বেলা ১টা ৪০ মিনিটে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে রাত ১০টায় ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছাবে। তবে বিশেষ এই ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে কোনো যাত্রী ওঠানামার সুযোগ নেই বলে জানান তিনি।

২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর ঢাকাকক্সবাজারঢাকা রুটে আন্তঃনগর ট্রেন কক্সবাজার এক্সপ্রেস যাত্রী পরিবহন শুরু করে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আরো একটি আন্তঃনগর ট্রেন ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ যাত্রী পরিবহন শুরু করে। এই দুটি ট্রেন চট্টগ্রামে যাত্রাবিরতি দেয় এবং চট্টগ্রামের যাত্রীদের জন্য ট্রেনে দুটি কোচ (স্নিগ্ধা ও শোভন চেয়ার) বরাদ্দ রয়েছে।

ঢাকাকক্সাবাজার দুটি আন্তঃনগরের পাশাপশি চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার একটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করছে।

টানা ছুটির কারণে ঢাকাকক্সবাজারঢাকা রুটে বিশেষ ট্রেন চালাতে ১ অক্টোবর রেলওয়ে মহাপরিচালককে একটি প্রস্তাব দেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক। গত বুধবার প্রস্তাবটি মহাপরিচালকের কাছ থেকে অনুমোদন পেয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পরিবহন শাখা ট্রেনটির শিডিউল ও টাইম টেবিল প্রণয়ন করেছে।

রেলের এসংক্রান্ত নথিপত্রে দেখা গেছে, বিশেষ ট্রেনটি ১৮/৩৬ কম্পোজিশনে যাত্রী পরিবহন করবে। ঢাকা থেকে রাতের বেলার ট্রেনটিতে সাতটি এসি বার্থ, একটি প্রথম শ্রেণীর বার্থ, চারটি এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা), দুটি শোভন চেয়ার এবং দুটি গার্ড ব্রেক, পাওয়ার কার ও খাবারের গাড়ির শোভন চেয়ার কোচ থাকবে। এজন্য রাতের ট্রেনটিতে আসন সংখ্যা মাত্র ৫১৮। তবে দিনের বেলা কক্সবাজার থেকে যাত্রী পরিবহনের সময় বার্থ কোচগুলোয় বসে যাতায়াতের সুযোগ থাকায় আসন সংখ্যা বেড়ে হবে ৬৩৪।

রেল ভবনের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, টানা ছুটির কারণে ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেনের টিকিট চাহিদা অনেক বেশি। যাত্রীরা নিয়মিত ট্রেনের টিকিটের আবদার করায় রেলওয়ে বিশেষ ট্রেন সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। তবে মাত্র ৫১৮টি আসনের জন্য এরই মধ্যে বিভিন্ন মাধ্যমে দুই হাজারের মতো টিকিটের চাহিদা এসেছে। সাশ্রয়ী ভাড়ার পাশাপাশি নিরাপদ ট্রেনযাত্রার কারণে কক্সবাজার রুটে টিকিটের চাহিদা বেশি থাকায় আগামীতে এ রুটে নতুন ট্রেনের পরিকল্পনাও রয়েছে রেলের।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিস্ফোরণের শিকার বাংলার জ্যোতিকে নেওয়া হলো ডকে
পরবর্তী নিবন্ধদেশের পরিস্থিতিতে হাসিনা হতাশ, নির্বাচনে অংশ নিতে ফিরবেন কিনা সিদ্ধান্ত হয়নি : জয়