তদন্ত কমিটির ১৪ সুপারিশ

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ৪ অক্টোবর, ২০২৪ at ৫:৪৫ পূর্বাহ্ণ

ইস্টার্ণ রিফাইনারি গঠিত অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার যাতে আর না ঘটে সে জন্য ১৪টি সুপারিশ পেশ করেছে।

. বিপিসির অধীন কোম্পানির জেটিগুলোর অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী এবং আধুনিকায়নের পাশাপাশি জেটিগুলোর মধ্যে ফায়ার ওয়াটার নেটওয়ার্কের মধ্যে ইন্টারকানেক্টিভিটি থাকা প্রয়োজন। ২. এ ধরনের তেলবাহী জাহাজে গ্যাস ডিটেকশন সিস্টেম থাকা প্রয়োজন। এছাড়া পাম্পরুম, স্টোররুম বা অন্য কোনো আবদ্ধ কক্ষে প্রবেশের আগে যথাযথ ভেন্টিলেশন নিশ্চিত করে প্রবেশ করা প্রয়োজন। ৩. তেলবাহী জাহাজের আবদ্ধ কক্ষে প্রবেশের আগে রুমটির প্রপার ভেন্টিলেশন নিশ্চিত করার পাশাপাশি পোর্টেবল গ্যাস ডিটেক্টরের মাধ্যমে কম্বাস্টিবল/ফ্ল্যামাবল গ্যাস, অঙিজেন লেভেল ইত্যাদি চেক করে নেওয়া প্রয়োজন।

. বার্থিংরত অবস্থায় বা লোডিং/আনলোডিং চলাকালীন যে কোনো রক্ষণাবেক্ষণ কাজের আগে কাজের ধরন অনুযায়ী যথাযথ কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি নেওয়া প্রয়োজন। ৫. ডলফিন জেটি৭ এ আরও অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন ফায়ার মনিটর স্থাপন, মনিটরের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং বিদ্যমান ফায়ার ওয়াটার নেটওয়ার্ক জেটির উভয়প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত করা যেতে পারে। ৬. ডলফিন জেটি৭ এ ফায়ার ইমার্জেন্সি মোকাবিলায় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ডিজেল ইঞ্জিনচালিত ফায়ার পাম্প স্থাপনের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। ৭. পতেঙ্গাস্থ সব অয়েল ইন্সটলেশন জরুরি পরিস্থিতিতে ফায়ার ফাইটিংয়ের জন্য এই জোনে বিশেষায়িত ফায়ার স্টেশন স্থাপন করা যেতে পারে।

. ডলফিন জেটি৭ এ কর্মরত স্থায়ী/অস্থায়ী সব কর্মকর্তা/কর্মচারীর বেসিক ফায়ার ফাইটিং ট্রেনিং বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে। ৯. তেলবাহী সব ট্যাংকারের ফায়ার সেফটি ব্যবস্থার কোড কমপ্লায়েন্সের জন্য নিয়মিত থার্ড পার্টি সেফটি অডিট কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। ১০. তেলবাহী ট্যাংকারের ফায়ার ফাইটিং ব্যবস্থা দুর্ঘটনার সময় কর্মক্ষম রাখার জন্য বিকল্প পাওয়ার সোর্সের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ১১. পোর্ট ফ্যাসিলিটির আওতায় স্থাপিত জেটিগুলো ইমার্জেন্সি মোকাবিলায় বন্দর কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে ইউজার ও লজিস্টিক সাপোর্ট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কার্যকরী সমন্বয় কমিটি বা নিয়ন্ত্রণ কমিটি থাকা প্রয়োজন।

১২. জেটি ও জাহাজ উভয়ক্ষেত্রে ইমার্জেন্সি মোকাবিলায় স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) রাখতে হবে। ১৩. জাহাজ ও জেটিতে ফ্ল্যামাবল এবং কম্বাস্টিবল বস্তু মেটেরিয়াল সেফটি ডাটা শিট (এমএসডিএস) অনুযায়ী যথাযথ স্থানে নিয়ম মেনে স্টোর করতে হবে। ১৪. এ ধরনের জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষেত্রে জেটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও সুদৃঢ় করা প্রয়োজন বলেও কমিটির সদস্যরা মতামত দিয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু নারী দলের
পরবর্তী নিবন্ধথিনার থেকে নির্গত গ্যাসে ইলেক্ট্রিক স্পার্ক হওয়ায় জাহাজে বিস্ফোরণ