আ. লীগ সবসময় সাম্প্রদায়িক ও বিভাজনের রাজনীতি করেছে

রাঙামাটিতে সমন্বয় সভায় শামীম

রাঙামাটি প্রতিনিধি | শুক্রবার , ৪ অক্টোবর, ২০২৪ at ৫:১৫ পূর্বাহ্ণ

 

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশ। কিন্তু আওয়ামী লীগ সবসময় সাম্প্রদায়িক ও বিভাজনের রাজনীতি করেছে। তারা সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু বিভাজন করে দেশকে সবসময় ব্যস্ত রাখতো। ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পতিত স্বৈরাচার আবার নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা সনাতনী সম্প্রদায়কে কার্ড হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। তাই সামনের দুর্গাপূজা আমাদের সকলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসময় তিনি সকল ভেদাভেদ ভুলে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অ্যানেক্স হলরুমে রাঙামাটি জেলা বিএনপি ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে গঠিত কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক শামীম বলেন, বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রতিটি পূজা মণ্ডপকেন্দ্রিক স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করেছে। শারদীয় দুর্গাপূজার ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত প্রতিদিন সনাতনীরা যাতে আনন্দমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপন করতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করবে বিএনপির নেতাকর্মী। তিনি আরও বলেন, রাঙামাটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শহর। এখানে পাহাড়িবাঙালি, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ সবাই শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। কিছুদিন ধরে রাঙামাটিসহ পার্বত্য এলাকাকে অশান্ত করতে পতিত স্বৈরাচার উঠে পড়ে লেগেছে। সেই ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না; কারণ আপনারাই এই শহরে থাকবেন। একজন অন্যজনের সুখেদুঃখে এগিয়ে আসবেন। কারো উসকানি বা কারো পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করবেন না। একজন অন্যজনকে আগলে রেখে মৈত্রী ও সাম্যের বাংলাদেশ গড়ে তুলবেন। সভায় রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক দীপেন দেওয়ান, সাবেক উপমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা মনি স্বপন দেওয়ান, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব ধর তমাল, কেন্দ্রীয় সদস্য বিপ্লব পার্থ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাঙামাটি জেলার সভাপতি অমলেন্দু হাওলাদার, রাঙামাটি আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি দুলাল সরকার, রামঠাকুর আশ্রমের অর্থ সম্পাদক বরুণ রায়, রাঙামাটি পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের নেতা খোকন কুমার দে, রিজার্ভবাজার গীতাশ্রম পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি রাজু প্রসাদ দে, আইচ ভবন পূজা উদযাপন পরিষদের প্রতিনিধি শিবশংকর আইচসহ আরও অনেকে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাওলা কুতুবিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসায় পুরস্কার বিতরণ
পরবর্তী নিবন্ধমসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীর নতুন ইমাম হলেন যারা