এবারের বিশ্বকাপ স্মরণীয় করে রাখতে চান বাংলার নারীরা

ক্রীড়া প্রতিবেদক  | বৃহস্পতিবার , ৩ অক্টোবর, ২০২৪ at ৪:৫৯ পূর্বাহ্ণ

আজ থেকে মাঠে গড়াচ্ছে আইসিসি নারী টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এ উপলক্ষে গতকাল দুবাইতে হয়ে গেছে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন। আইসিসির ফটোসেশন অনুষ্ঠানে খুনসুঁটিতে মেতেছিলেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। সেখানেই বর্ষসেরা দলে থাকার ক্যাপ বুঝে পান নিগার সুলতানা জ্যোতি। কিছুটা আবেগাপ্লুত হতেও দেখা যায় তাকে। ঘরের মাঠে নারী টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার কথা ছিল তাদের। এখন বাংলাদেশ দল আছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে।আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপের প্রথম দিনেই মাঠে নামছে বাংলাদেশ দল। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে আসা স্কটল্যান্ড তাদের প্রতিপক্ষ। তাদেরকে হারিয়েই ২০১৪ সালের পর বিশ্বকাপে ম্যাচ না জেতার রেকর্ড ভাঙতে চান অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। বিসিবির পাঠানো অডিও বার্তায় তিনি বলেন আমি বলবো যে পুরো দলের জন্য অনেক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এই জন্য যে, আমরা যতগুলো বিশ্বকাপ খেলেছি; ২০১৪ ছাড়া বলার মতো তেমন বলার কিছু করতে পারিনি। আমাদের জন্য এটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এজন্য যে, আমরা চাই যেন এই বিশ্বকাপটা হিসাবে ও মনে রাখার মতো হয়। গত চার বিশ্বকাপে জয় না পাওয়াটা খুবই হতাশাজনক । কিন্তু আমি বিশ্বাস করি এই দুঃখ এবার ঘোচাতেই চাই। যেন আমাদের এই দুঃখ আর না থাকে। শুরুটা তাই প্রথম ম্যাচ দিয়েই করতে চাই।

স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে এখন অবধি চারবার মুখোমুখি হয়ে হারেনি বাংলাদেশ। দলটিও যেকোনো ফরম্যাটের নারী বিশ্বকাপে খেলতে এসেছে প্রথমবার। তাদেরকে হারাতে তাই বাড়তি প্রত্যয়ী বাংলাদেশ অধিনায়ক। তাকে প্রেরণা যোগাচ্ছে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানকে হারানো। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন আমি বলবো যে আমাদের দল যেভাবে খেলে এসেছে, শেষ ওয়ার্ম আপ ম্যাচটা যেভাবে খেলেছে পাকিস্তানের বিপক্ষে। সবাই একটা ভালো শেপে দেখেছি। সবার ভেতর যে এনার্জি বা ম্যাচ জেতার যে ক্ষুধা তা সত্যিই প্রেরনাদায়ক। আমাদের ব্যাটিং ইউনিট অনেক ভালো করেছে। ভালো একটা স্কোর দাঁড় করিয়েছে। বোলাররা অনেক ভালো ব্যাক আপ দিয়েছে। এখন পর্যন্ত সবকিছু মিলিয়ে যদি চিন্তা করি দল একটা ভালো অবস্থায় আছে। আমরা জয়ের জন্যই খেলবো। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ব্যক্তিগত মাইফলকও ছুয়ে ফেলবেন জ্যোতি। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচটি হবে তার টিটোয়েন্টি ক্যারিয়ারের শততম। এ ম্যাচকে জিতেই স্মরণীয় করে রাখতে চান তিনি। বাংলাদেশের অধিনায়কের চাওয়া অবদান রাখারও। তিনি বলেন অন্যরকম অনুভূতি একশতম ম্যাচ খেলার। অনেক বেশি খুশি। অনেক সময় আসলে অবাকও লাগে। মনে হচ্ছিল এই হয়তো ক্যারিয়ার শুরু করেছি। দেখতে দেখতে প্রায় একশটা ম্যাচ হয়ে যাচ্ছে। ওদিক থেকে আমি অনেক আনন্দিত। সব থেকে খুশি হবো যদি ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ে কোনো অবদান রাখতে পারি সেটা হবে সবচেয়ে বেশি স্মরণীয়। অধিনায়কের মাইলফলক ছোঁয়া নিয়ে হেড কোচ হাশান তিলকারাত্নে বলেন এটা বড় উপলক্ষ জ্যোতি ও দলের জন্য। সবাই জ্যোতির একশতম ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছে। এটা আমাদের সবার জন্য বড় উপলক্ষ্য। যদি ইতিবাচক ফল পাই ২০ কোটি মানুষের জন্যও সেটিই হবে অনেক আনন্দের।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচন্দনাইশে কিশোরীদের আত্মরক্ষায় ওডেবের কারাতে প্রশিক্ষণ উদ্বোধন
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে ফখরুলের গাড়ি বহরে হামলা মামলার পুনঃতদন্তের আদেশ