রাঙ্গুনিয়ার ইছামতি নদীর বালুচর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, গুলিবর্ষণ এবং চাঁদা দাবির অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক এমপি ফজলে করিম চৌধুরী, তার পুত্র ফারাজ করিম, শারুন চৌধুরীসহ ১৮০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরো ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন পাড়া এলাকার মফজল আহমেদের ছেলে জালাল আহমেদ। আদালত মামলার অভিযোগটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং চট্টগ্রাম–৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ড. হাছান মাহমুদ, রাউজানের সাবেক এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, তার ছেলে ফারাজ করিম চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর ছেলে তৈয়বুল বশর মাইজভান্ডারী, জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর ছেলে শারুন চৌধুরী, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি ওমর হাজ্জাজ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, চলতি বছরের ১৫ জুলাই বিকেল ৫টার দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইছামতি নদীর রানীরহাট ব্রিজ সংলগ্ন ঠান্ডাছড়ি এলাকায় গিয়ে আসামিরা অসহায় কৃষকদের চাষের জমি থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন শুরু করে। এতে বাধা দিলে আসামিরা কৃষকদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে দাঙায় লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে আসামিরা গুলিবর্ষণ করে। আর বালু উত্তোলনের ফলে ফসলী জমির প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি করে। আসামিরা ইছামতি নদীর বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি এবং ফসলি জমি ভেঙে পড়েছে। মামলার বাদী ও জমির ৮৫ জন মালিক আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে গ্রামবাসীকে অস্ত্র দেখিয়ে ফাঁকা গুলি করে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করা হয় বলে উল্লেখ করে এজাহারে বলা হয়েছে যে, চাঁদা দিতে না চাইলে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি জমির মালিকদের কাছ থেকে খালি স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক সাক্ষর নেয় আসামিরা।
আদালত পিবিআইকে ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।