খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সহিংসতায় গঠিত সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। গতকাল রোববার সকালে দীঘিনালার লারমা স্কয়ার সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন কমিটির প্রধান চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নূরী। এ সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথা বলেন তিনি।
পরে মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নূরী সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার কারণ জানতে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলেছি। তাদের কাছে ঘটনার বর্ণনা শুনেছি। পাশাপাশি সে সময় গণমাধ্যমে যে সকল ভিডিও প্রচারিত হয়েছে এবং পত্রপত্রিকায় যেসব রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে তা বিশ্লেষণ করা হবে। এছাড়া যারা আহত বা নিহত হয়েছে সেই তথ্যও সংগ্রহ করা হবে। এ সময় কোনো বাস্তুচ্যুত হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।
কমিটির সদস্য খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রোজলিন শহীদ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তফিকুল আলম ছাড়াও দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুনুর রশীদ, দীঘিনালা থানার ওসি মো. জাকারিয়া, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ঘটনা তদন্তে ২৬ সেপ্টেম্বর সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার।
আগামী ১৪ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে তদন্ত কমিটি। এদিকে গত ১৯–২০ সেপ্টেম্বর দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সংঘটিত ঘটনা তদন্তের জন্য সরকারের গঠিত ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করেছে আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ। গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানান সংগঠনের সহসভাপতি নতুন কুমার চাকমা।
উল্লেখ্য, ১৮ সেপ্টেম্বর মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে খাগড়াছড়িতে গণপিটুনির শিকার হয়ে মামুন নামে এক যুবক নিহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলটি লারমা স্কয়ারের দিকে যাওয়ার সময় সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এক পর্যায়ে লারমা স্কয়ারে দোকানপাট ও বসতবাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে সংঘাত খাগড়াছড়ি জেলা সদর ও রাঙামাটিতে ছড়িয়ে পরে। এ সময় নিহত হন ৪ জন।