জীবনে হতাশা থাকবেই। তবে জীবনকে নতুন করে, নিজের মতো করে, বেঁচে থাকতে– পারাটাই জীবনের সার্থকতা। যেহেতু আমরা মানুষ জাতি, চিন্তা আমাদের থাকবেই। হোক সেটা হতাশা বা ব্যর্থতার চিন্তা। অথবা সফলতার চিন্তা। আমাদের চিন্তা যাচাই করারও ক্ষমতা আছে। তাই আমাদের জীবনকে নিয়ে আশাপূর্ণ চিন্তা করতে হবে। মানুষের জীবন সফল–ব্যর্থতায় পূর্ণ। ব্যর্থ হয়েছেন বলে, আপনি কখনো সফল হতে পারবেন না, তা ঠিক নয়। আবার আপনি প্রতিটি ক্ষেত্রে সফল হলেও, আপনার জীবনে ব্যর্থতা আসতে পারে। ব্যর্থতা মানে জীবনের শেষ নয়, ব্যর্থতা মানে জীবনকে নতুন করে শুরু করা, নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করা, নতুনভাবে পরিচিত করা। আপনি জীবনে যত বেশি ব্যর্থ, তত বেশিই অভিজ্ঞ। আপনি জীবনে যত বেশি ব্যর্থ, তত বেশিই সংগ্রামী।এ ব্যর্থতাগুলোয়, হয়ত একদিন আপনার ভবিষ্যতের পথে মসৃণ –সুন্দর ও সহজময় করবে। তাই ব্যর্থতাকে হতাশায় পূর্ণ না করে, আশায় পূর্ণ করুন। বড়– বড় স্বপ্ন দেখুন, যে স্বপ্নকে কেবল আপনিই ছুঁতে পারবেন। মানুষের জীবনের একপিঠ যদি হয়ে হতাশা, তবে অন্য পিঠে আছে অসংখ্য আশা। আমরা বুঝতেই পারি না, হতাশা আমাদের জীবনে কত ভূমিকা রাখে সফল হতে। চলুন, নিজের উপর আরেকবার আশা রাখি, আরেকবার ভরসা করি। দেখা যাবে আগামী দশবছর পর, আপনার হতাশা–গুলোই আপনার জীবনের আশায় পূর্ণ হলো। চলুন, আজ থেকে মনের হতাশাকে আশায় পূর্ণ করি। নিজেকে ভালোবেসে, নিজের উপর বিশ্বাস রেখে।