ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য আইন রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের অইন অনুযায়ী প্রতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে নতুন–তরুণ ভোটাররা হালনাগাদ ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকেন। হালনাগাদ ভোটার তালিকায় প্রথমবারের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য নতুন ভোটাররা অপেক্ষায় থাকেন। যারা বয়সের দিক দিয়ে ভোটার হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন তারা সকলেই এই সময়ের মধ্যে ভোটার হয়ে থাকেন।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে নির্বাচনী সংস্কার বিষয়ক একটি কমিশন গঠন করেছে। সেই কমিটি আগামী ১ অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করার কথা জানিয়েছে। এতে কমিশনের প্রতিবেদন দাখিলের পর কী নির্দেশনা সরকারের পক্ষ থেকে আসে তার ওপর কর্মপন্থা নির্ধারণ করবে সংস্থাটি। তবে প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে আগামী জানুয়ারি থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া ভোটার তালিকায় বিদ্যমান ত্রুটি দূর কাজে হাত দিয়েছে ইসি।
নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তা গতকাল আজাদীকে জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য আইন আছে। এক্ষেত্রে জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে হবে। এবারও জানুয়ারি থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য আমরা আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। এছাড়া ভোটার তালিকা নির্ভুল করার জন্য আমরা দ্বৈত ভোটার চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কাজ চলমান রেখেছি।
সর্বশেষ ভোটার তালিকা অনুযায়ী, চট্টগ্রাম মহানগরী ও জেলার মোট ভোটার সংখ্যা ৬৫ লাখ ৭৬ হাজার ৯২৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৩৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৩ জন এবং মহিলা ভোটার সংখ্যা ৩১ লাখ ১৩ হাজার ২৮১ জন। এবার তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার হয়েছে ৬১ জন।
নির্বাচন কমিশন থেকে জানা গেছে, সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন। তবে হালনাগাদ কার্যক্রমের বাইরেও অনেকে ভোটার হয়েছেন। এক্ষেত্রে বর্তমানে প্রকৃত ভোটার সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।