মীরসরাই উপজেলার খৈয়াছড়া ঝরনায় ঝুঁকিপূর্ণ পাথর ও আস্তরণ অপসারণের জন্য কয়েকদিনের জন্য দর্শনার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেছে বনবিভাগ। গতকাল শনিবার থেকে উক্ত ঝরনায় দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় কাজ শুরু করেছে এবং একই সাথে নিষেধাজ্ঞা ও জারি করেছে বন বিভাগ। গত শুক্রবার পাথর পড়ে ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত ও আরেকজন গুরুতর আহত হওয়ার পর বন বিভাগের খৈয়াছড়া ঝরনার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গতকাল এই উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং একই দিন থেকে তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে।
বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট বারৈয়াঢালা রেঞ্জ কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ সকল পাথর অপসারণসহ দর্শনার্থীদের নিরাপদ ভ্রমণের বিষয়াদি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কয়েকদিন ধরে সংস্কার কাজ চলবে। উক্ত কাজ চলমান অবস্থায় ঝরনা এলাকায় সকল প্রকার দর্শনার্থীর ভ্রমণে নিষোধাজ্ঞা থাকবে।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে দড়ি বেঁধে ঝরনার ঢালু ও উপরের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ পাথরগুলো কেটে ও ভেঙে অপসারণের জন্য চট্টগ্রাম থেকে একটি র্যাম্পিং টিম এসেছে। তারা পাহাড়ের গায়ে দড়ি বেঁধে শনিবার থেকে কাজ শুরু করেছে। ঝরনার প্রাকৃতিক আকৃতির কোনো পরিবর্তন না করে ওরা ঝরনার গায়ে ঝুলে শাবল দিয়ে সকল পাথর কেটে ফেলে দিচ্ছে। ঝরনার উপরে ও নিচে সকল ঝুঁকিপূর্ণ পাথর সরাতে ২–৩ দিন সময় লাগতে পারে বলে জানান তিনি।
মীরসরাইয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন বলেন, আমি আরো আগেই বনবিভাগকে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় নিয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে বলেছিলাম। আগে থেকে সচেতন হলে গতকালের দুর্ঘটনা ঘটত না। এখন থেকে বনবিভাগকে সবসময় সজাগ থাকতে হবে, যাতে এই ঝরনা আরেকটি প্রাণ যেন না ঝরে।