সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন হত্যাকাণ্ডের মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মো. সাদেককে কক্সবাজারের চকরিয়া থানাধীন ফাঁসিয়াখালি থেকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী।
র্যাব–১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এতে বলা হয়, সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যার ঘটনায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব–১৫ সদর ব্যাটালিয়নের একটি দলের নেতৃত্বে যৌথবাহিনী গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সোয়া ২টার দিকে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানাধীন ফাঁসিয়াখালি এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি মো. সাদেককে (৪১) গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি হত্যাকাণ্ডে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামির পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। খবর বাসসের।
উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর চকরিয়া উপজেলার ডুলহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়া এলাকার মাছ ব্যবসায়ী রেজাউল করিমের বাড়িতে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহণ করছে এমন সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য অভিযান টিমের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জনের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান চালায়। রাত আনুমানিক ৩টা ২৫মিনিটে সেনাবাহিনী ও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতেরা দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টাকালে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যগণ ডাকাতদের গ্রেফতারের লক্ষে পিছু ধাওয়া করে। এ সময় লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার একজন ডাকাতকে আটক করেন। আটককৃত ডাকাতকে ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে অপর ডাকাতরা এসে লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ারকে ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর জখম করে আটককৃত ডাকাতকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে সেনা কর্মকর্তা তানজিম মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে সেনা ও পুলিশ সদস্যগণ তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাৎক্ষণিকভাবে মালুমঘাট মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
র্যাব এ হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী ছায়াতদন্তসহ ঘাতকদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান শুরু করে। এ ঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।