চকরিয়ার চরণদ্বীপ এলাকার চিংড়িঘেরে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগে ফখরুদ্দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে করা দুটি মামলায় আদালত থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কক্সবাজার–১ (চকরিয়া–পেকুয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত–৪ এর বিচারক আখতার জাবেদের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। একই সাথে ২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে করা এ দুটি মিথ্যা মামলা থেকে তাকে বেকসুর খালাস দিতে আবেদন করেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ দুপুর ১টার দিকে তার পেকুয়া উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে এসে কক্সবাজার শহরে আদালত পাড়ায় হাজির হন। এসময় শত শত আইনজীবী এবং বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা শ্লোগান দিয়ে তাকে স্বাগত জানান। তিনি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আখতার জাবেদের আদালতে হাজির হলে আদালত দুই মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে সালাহউদ্দিন আহমদসহ সকল আসামিকে বেখসুর খালাস দেন।
সূত্র মতে, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকারের বিদায়ের পর ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলের সুবিধা নিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদকে প্রধান আসামি করে ওই দুটি মামলা করা হয়। মামলাগুলোতে সালাহউদ্দিন আহমদ ছাড়াও চকরিয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীদের আসামি করা হয়। এ দুটি মামলারই বাদী মাহমুদুল হক নামের একজন ব্যক্তি। দুটি মামলার একটিতে ২৩ জন ও অন্যটিতে ৩৪ জনকে আসামি করা হয়েছিল। এদের মধ্যে সালাহউদ্দিন আহমদ ছাড়াও চকরিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এনামুল হক, নুরুল ইসলাম হায়দারসহ অন্য নেতাকর্মীরা রয়েছেন। এসব মামলার সকল আসামিই সালাহউদ্দিন আহমদের ঘনিষ্ট রাজনৈতিক সহকর্মী।