চিকিৎসার কোনো ডিগ্রি অর্জন না করে নিয়মিত দিচ্ছেন চিকিৎসা। এমন প্রতারণার অভিযোগে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা দোভাষী বাজার এলাকায় মোরশেদ আলম নামে এক ব্যক্তিকে এক লাখ টাকার অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
এ সময় তার চেম্বারটি বন্ধ করে দেয়া হয়। বৃহষ্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারজান হোসাইন অভিযান চালিয়ে এই দণ্ড দেন।
অভিযানে সহযোগিতা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল আলম রুবেল, চিকিৎসক ইসমাইল হোসেনসহ রাঙ্গুনিয়া থানা—পুলিশ।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়, সরকারি নিয়মনীতি ছাড়া চিকিৎসার প্র্যাকট্রিস করছে, প্রতারণা করছে এমন অভিযোগে এই অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযুক্ত মোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে বেশ কয়েক বছর আগেও এই ধরণের অভিযোগ উঠলে তার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছিলো উপজেলা প্রশাসন।
ওই সময় তাকে অর্থদণ্ড দেয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে এমন কাজ থেকে বিরত থাকবেন মর্মে অঙ্গিকার নেয়া হয়েছিলো। এরপর কিছুদিন চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রেখে ফের একইভাবে চিকিৎসা চালিয়ে গেছেন তিনি। তবে এবার এসব কাজ থেকে বিরত থাকবেন মর্মে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে জানিয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তৌহিদুল আলম রুবেল বলেন, রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন এলাকায় পল্লী চিকিৎসক কিন্তু ডাক্তার লিখছেন, ভুয়া কবিরাজ, এমবিবিএস, এমডিসহ বিভিন্ন ডিগ্রি অর্জন না করে মানুষের সাথে প্রতারণা করছে এমন নানা অভিযোগ পাচ্ছি আমরা। এই ধরণের একটি অভিযোগ পেয়ে চন্দ্রঘোনা দোভাষী বাজারের একটি চেম্বারে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে অভিযুক্ত মোরশেদ আলম স্বীকার করেছেন উনার বাংলাদেশ মেডিক্যাল কাউন্সিলের কোনো স্বীকৃতি নেই, চিকিৎসার ডিগ্রি নেই। কিন্তু তিনি এসব ডিগ্রি ব্যবহার করে মানুষের সাথে প্রতারণা করছেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারজান হোসাইন বলেন, মোরশেদ আলমের বাংলাদেশ মেডিক্যাল কাউন্সিলের কোনো স্বীকৃতি নেই, চিকিৎসার কোনো ডিগ্রিও নেই। মেডিক্যাল এবং ডেন্টাল কাউন্সিল আইনে জালিয়াতির মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়ার দায়ে তাকে জরিমানা করা হয়েছে। এই ধরণের প্রতারণা করে স্বাস্থ্যসেবাকে ঝুঁকিতে ফেলছে, প্রতারণার মাধ্যমে চিকিৎসা দিচ্ছে এমন অভিযোগ পেলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ছবির ক্যাপশন— রাঙ্গুনিয়ায় ডিগ্রী অর্জন না করে চিকিৎসা দেয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে লাখ টাকা অর্থদন্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারজান হোসাইন।