লোহাগাড়ার আধুনগরে কাশফি (২১) নামে এক তরুণীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ইউনিয়নের ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের সিপাহী পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। কাশফি একই এলাকার মৃত ফরিদুল আলমের কন্যা ও স্নাতকে অধ্যয়নরত।
জানা যায়, কাশফির সাথে এক ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ছেলেটি কয়েকদিন আগে অন্য মেয়েকে বিয়ে করে ফেলে। এই ঘটনা মেনে নিতে না পেরে কাশফি নিজের শয়নকক্ষে সকলের অগোচরে সিলিং ফ্যানের সাথে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে স্বজনরা তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা সদরের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
লোহাগাড়া সাউন্ড হেলথ হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রলয় সেন জানান, স্বজনরা গলায় ফাঁস দেয়া এক তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তরুণী গলায় ফাঁস দেয়ার চিহ্ন দেখা গেছে। পরে স্বজনদের ওই তরুণীর মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাবার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তৈয়ব জানান, স্বজনরা এক তরুণীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তখন মা তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানায়। ময়নাতদন্ত করতে হবে জানালে নাম-ঠিকানা তালিকাভূক্ত না করে স্বজনরা মরদেহ নিয়ে চলে যায়।
এদিকে, এই ব্যাপারে জানতে স্থানীয় ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীনকে ফোন করা হলে তিনি কিছুই জানেন বলে জানায়। সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় পুরো এলাকায় সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে। এলাকাবাসী এক তরুণীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করলেও কিভাবে মারা গেছেন জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।
লোহাগাড়া থানার এসআই মো. কামাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল লিপিবদ্ধ করা হয়। মরদেহের গলায় ফাঁস লাগানোর কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মরদেহ দাফনের ব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করা হচ্ছে।