বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ঘিরে জুলাই–আগস্টে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ কেন ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট। একই সঙ্গে আহতদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি কেন দেওয়া হবে না, একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের মতো সুবিধা কেন ২০২৪–এর ‘গণঅভ্যুত্থানে’ আহতদের দেওয়া হবে না এবং নিহতদের পরিবারকে কেন পুনর্বাসনের নির্দেশ দেওয়া হবে না তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের বেঞ্চ এ বিষয়ে একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল জারি করে। খবর বিডিনিউজের।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জুলাই–অগাস্টে নিহতদের জাতীয় বীর ঘোষণা করার নির্দেশনা চেয়ে এ রিট মামলা দায়ের করেন রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বাসিন্দা আলী নাজের। মামলার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন; সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রায়হান আলম ও জাকিয়া হুমায়রা তমা।
রায়হান আলম সাংবাদিকদের বলেন, যারা নিহত হয়েছেন তাদের কেন ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা করা হবে না; যারা আহত হয়েছে তাদের কেন মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা করা হবে না; ওই সময় মৃত্যুবরণকারীদের পরিবারকে কেন পুনর্বাসন করা হবে না এবং আহতদের কেন ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের মতো আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে না–এসব বিষয়ে আমরা রুল চেয়েছি। শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করেছেন। রিটে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।