সাজেক থেকে খাগড়াছড়ি ফেরার পথে দুই পর্যটক ও তাদের গাড়ি চালককে অপহরণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশের তৎপরতায় তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপারের কক্ষে সাংবাদিকদের কাছে দুই ভিকটিম ফরিদপুরের বাসিন্দা এসএম নাহিদ উজ্জমান ও মামুন ফকির তাদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।
এসএম নাহিদ উজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার সকালে সাজেক থেকে ফেরার পথে দীঘিনালার জামতলী এলাকায় পৌঁছালে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কিছু অচেনা ব্যক্তি আমাদের ব্যক্তিগত গাড়ির গতিরোধ করে। পরে আমাদের রাস্তা থেকে একটু ভেতরে পার্শ্ববর্তী করাত কলের পাশে নিয়ে মোবাইল, জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে ফেলে। আমাদের কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। এসময় তারা আমাদের মারধর করে। এক পর্যায়ে দর কষাকষিতে ২০ লাখ টাকায় রাজি হয়। পরে সাজেকে রিসোর্ট কেনার কথা বলে পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা চাইতে বলে। বিষয়টি আমার এক স্বজনকে (মামা) জানাই। আমাদের পরিবারের লোকজন বিষয়টি আঁচ করতে পেরে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপারকে অবগত করে। পুলিশ সুপার আমার ব্যক্তিগত নাম্বারে যোগাযোগ করলে অপহরণকারীরা নাম্বারটি ট্রু–কলারে চেক করে। এতে পুলিশ সুপারের নাম দেখে অপহরণকারীরা আমাদের ছেড়ে দেয়। এসময় তারা পুলিশকে কিছু না বলার ভয়ভীতি দেখায়। দুপুর দেড়টার দিকে আমরা জিম্মিদশা থেকে বেরিয়ে দ্রুত পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে চলে আসি।
তিনি আরো বলেন, অপহরণকারীরা সাজেকে আমরা কোন রিসোর্টে ছিলাম তাও অবগত ছিল। তাদের কথাবার্তায় মনে হয়েছে তারা আমাদেরকে আগে থেকেই অনুসরণ করেছে এবং এটা পূর্ব পরিকল্পিত। এই ঘটনায় আমরা থানায় মামলা দায়ের করব।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, আমরা অপহরণের মামলা নিয়ে বিষয়টা তদন্ত করব। পাহাড়ে কারা কিডন্যাপিং বা অপহরণের সঙ্গে জড়িত তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।