নগরীতে এক কিশোরীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। কুমিল্লা থেকে প্রেমিকের সাথে চট্টগ্রামে আসা ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোরীর প্রেমিককে আটকে রেখে চার যুবক তাকে দলবেঁধে ধর্ষণ করে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গত সোমবার রাতে নগরীর খুলশী থানার সন্নিকটে রাস্তার বিপরীত পাশে নির্মাণাধীন একটি ভবনে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তারকৃত যুবকের নাম আবুল কালাম (২৮)।
খুলশী থানা পুলিশ জানিয়েছে, ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী ও এক কিশোর কুমিল্লা থেকে পালিয়ে ট্রেনে করে চট্টগ্রামে আসেন। তাদের বাড়ি কুমিল্লায়। সোমবার রাত ১০টার দিকে তারা নগরীর পাহাড়তলী রেলওয়ে স্টেশনে নামেন। সেখানে তাদের কাছে থাকা একমাত্র মোবাইল ফোনটি চুরি হয়ে যায়। স্টেশন থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে তারা নগরীর খুলশী এলাকায় আসেন। এক সিএনজি অটোরিকশা চালক তাদের দক্ষিণ খুলশী এলাকায় এনে নামিয়ে দেন।
তারা সেখানে ঘোরাঘুরির একপর্যায়ে আবুল কালাম ও তার সঙ্গে থাকা আরও তিন যুবক মিলে তাদের নিরাপদ আশ্রয় দেয়ার কথা বলে একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে কিশোরকে একটি কক্ষে আটকে রেখে চারজন পালাক্রমে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। রাত ১২টার দিকে স্থানীয়রা খবর পেয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেন।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান গতকাল জানিয়েছেন, ‘বিয়ে করার উদ্দেশে কিশোরী ও কিশোর চট্টগ্রামে এসেছেন বলে জানিয়েছেন। এখানে এসে কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। আমরা একজনকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করেছি। আরও তিনজন এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে আমরা জানতে পেরেছি। তাদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। ওই কিশোরের আত্মীয়স্বজন ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম এসে পৌঁছেছেন। গ্রেপ্তারকৃত আবুল কালাম একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আবুল কালাম বর্তমানে দক্ষিন খুলশী বিজিএমইএ ভবনের পাশে ভাড়া ঘরে বসবাস করে। তার বাড়ি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানার পাতার হাট গ্রামে। তার বাবার নাম হাবিবুর রহমান। ঘটনার ব্যাপারে একটি মামলা হয়েছে বলে খুলশী থানা জানিয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা এক যুবক গতকাল সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আক্রান্ত কিশোরী এবং তার প্রেমিককে উদ্ধার করি। ওই সময় আমরা আবুল কালামকে হাতে নাতে ধরে ফেলি, অপর তিনজন পালিয়ে যায়। এরা সবাই খুলশী এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী বলেও ওই যুবক জানান। তাদের সবার বিরুদ্ধে খুলশীসহ নগরীর বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে বলেও যুবকটি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ওই যুবক জানান, নির্মাণাধীন একটি ভবনের এক কক্ষে মেয়েটিকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছিল, অপর একটি কক্ষে তার প্রেমিককে বেঁধে রাখা হয়েছিল। আমরা দুই কক্ষ থেকে দুইজনকে উদ্ধার এবং একজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি।