আগামী ২৮ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রামের জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার দ্বিতীয় টেস্ট। প্রথম টেস্ট শুরু হওয়ার কথা রয়েছে ২১ আগস্ট থেকে ঢাকার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত হতে গতকাল চট্টগ্রাম সফর করে দক্ষিন আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের চার কর্মকর্তা। তারা হলেন দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের সেফটি এন্ড সিকিউরিটি কনসালটেন্ট ররি জন স্টেইন, দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটার এসোসিয়েশনের প্রতিনিধি ফারহান বেহারদিন, ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজার সিবুইল ম্যাকিনগোয়ানা এবং প্রটেস্ট সিকিউরিটি ম্যানেজার ব্রায়ান কন্টো। এই চার প্রতিনিধি দল গতকাল সকালে আসেন টেস্ট ম্যাচটির ভেন্যু জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। তারা সেখানে ক্রিকেটারদের ড্রেসিং রুম, ইনডোর সুবিধ,ি জিম সহ স্টেডিয়ামে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার বিষয়টি পর্যবেক্ষন করেন। যেহেতু মুলত নিরাপত্তাকে কেন্দ্র করেই চার কর্মকর্তার এই সফর তাই বিসিবর কাছে স্টেডিয়ামে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা প্লানটি জানতে চান। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফিস তাদেরকে স্টেডিয়াম এলাকার নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। পরে শাহরিয়ার নাফিস সাংবাদিকদের বলেন আসলে এই সফর একটি রুটিন সফর। যেকোন দল বাংলাদেশে বা অণ্য কোন দেশে সিরিজ খেলতে যাওয়ার আগে এ ধরনের একটি সফর হয়ে থাকে। সেটাই তারা করে গেলেন। চট্টগ্রামের এই মাঠে নিরাপত্তা বিষয় সহ আনুষঙ্গিক বিভিন্ন কিছু তারা দেখেছেন। এই চার কর্মকর্তা দেশে ফিরে সেদেশের বোর্ডকে এই সফরের একটি রিপোর্ট প্রদান করবেন। এরপর দক্ষিন আফ্রিকা বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে সিরিজের ব্যাপারে। তবে এই সিরিজ বাতিল হওয়ার কোন সম্ভাবনা দেখেননা নাডিফস। তিনি বলেন তারা খেলতে চায় বলেইতো পরিদর্শনে এসেছেন। তবে নিরাপত্তা সহ নানা বিষয়ে তাদের যদি কোন পরামর্শ থাকে তবে সেটা আমাদের দিয়ে গেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সে অনুযায়ী বাকি পদক্ষেপ নেবে।
এদিকে সকালে জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম পরিদর্শনের পর দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের এই চার কর্মকর্তা আসেন নগরীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে। যেহেতু দলটি সফরে এলে চট্টগ্রামে এই হোটেলেই থাকবে। সেখানকার কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন তারা। জানতে চান সেখানকার পরিকল্পনা। তারা হোটেলের নিরাপত্তার বিষয়টিও পরখ করেন। হোটেল কর্তৃপক্ষ তাদের সব পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন দক্ষিন আফ্রিকার এই কর্মকর্তাদের সামনে। এরপর বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার এবং পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আরেকটি সভায় মিলিত হন ক্রিকেট দক্ষিন আফ্রিকার কর্মকর্তারা। সেখানে নিরাপত্তা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। দক্ষিন আফ্রিকার এই কর্মকর্তারা মুলত জানতে চেয়েছেন হোটেল থেকে স্টেডিয়াম আবার স্টেডিয়াম থেকে হোটেলে ফেরার পথটা কতটা নিরাপদ। পাশাপাশি স্টেডিয়ামের নিরাপত্তার বিষয়টিও জানতে চান তারা। সব মিলিয়ে এই চার কর্মকর্তার প্রধান ইস্যু ছিল নিরাপত্তা। যেহেতু বাংলাদেশ সফরে দক্ষিন আফ্রিকার যে দুটি টেস্ট ম্যা্চ রয়েছে সে ম্যাচ দুটি আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ। আর এই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকায় বেশ উপরের দিকে রয়েছে দক্ষিন আফ্রিকা। তাই এই ম্যাচ দুটি তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিকেট দক্ষিন আফ্রিকার এই চার কর্মকর্তার সফরকালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গ্রাউন্ডস এন্ড ফেসেলিটিজ বিভাগের জাতীয় ম্যানেজার সৈয়দ আবদুল বাতেন, বিসিবির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা মেজর (অবঃ) হাসিব, বিসিবির এন্টিকরাপশণ বিভাগের প্রধান মেজর (অবঃ) রাইয়ান, জহুর আহমসদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ভেন্যু ম্যানেজার ফজলে বারী খান রুবেল।