একজন মনীষী বলেছেন, মানুষ রাজনৈতিক জীব। কথাটা শতভাগ সত্য কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। বিতর্ক সৃষ্টির অবকাশ রয়েছে। তবে একটা কথা খুব জোরের সাথে বলা যায় যে মানুষ খাই খাই জীব। অর্থাৎ খাদক। অন্যান্য জীব খিদে না পেলে খায় না। কিন্তু মানুষ নামের জীবটি যে কোনো ধরনের খাবার চোখের সামনে দেখলে শুধু খেতে চায়। যারা পেটুক তারা নাভি উলটিয়ে খেয়ে অবশেষে ডাক্তারের কাছে গিয়ে হজমি ওষুধের প্রেসক্রিপসন লিখে নিয়ে আসে। আমার সব সময় খাই খাই ভাব থাকায় এক তিল গণকের কাছে গিয়েছিলাম। শুনেছি তিনি তিল দেখে মানুষের অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ সব কিছু একেবারে ঠিক ঠাক বলে দিতে পারেন। এই তিল গণক আমার তলপেটে তিল দেখে বলেছিলেন, আমি একজন খাই খাই জীব। গণকটি সত্য কথাই বলেছিলো। গোরু দিনের বেলা বেশি করে খেয়ে রাতে জাবর কাটে। গোরুর মতো আমারও জাবর কাটতে ইচ্ছে করে। আপাতত স্মৃতির জাবর কাটছি। শেরে বাংলা ফজলুল হক বুড়ো বয়সেও ৫০–৬০টি ফজলি আম খেতে পারতেন। প্রচুর খেতে পারতেন মওলানা ভাসানিও। এঁরা কিন্তু পেটুক ছিলেন না। এটা ছিলো তাঁদের স্বভাবজাত। শক্তিমান বলেই খেতে পারতেন। খাওয়া নানা ধরনের রয়েছে। আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা ঘুষ খায়।
এটা এখন আমাদের জাতীয় খাবারে পরিণত হয়েছে। আমরা হাওয়া যেমন খাই তেমনি খাই বউ–এর বকুনিও। বড় মাছ ছোট মাছকে গিলে খায়। বোয়াল মাছ রাক্ষসী মাছ হলেও বোকা নয়। সহজে ধরা যায় না। চেষ্টা করলে এই মাছটিকেও ধরা সম্ভব। আসুন, আমরা রাঘব বোয়াল ধরি।