বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) চট্টগ্রাম, ব্লু প্ল্যানেট ইনিশিয়েটিভ, মাসিক প্রাণপ্রকৃতির আয়োজনে কর্ণফুলী নদীর তীরে নতুন ফিশারি ঘাট এলাকায় একটি মানববন্ধন এবং প্লাস্টিক বর্জ্য পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালিত হয়। গতকাল রোববার ধরা চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক শারুদ নিজামের সঞ্চালনায় ও লায়ন জেলা গভর্নর কোহিনূর কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ কর্মী সৈয়দ আহমেদ বাদল। তিনি কর্ণফুলী নদী রক্ষায় নাগরিকদের আরো যত্নশীল হবার আহবান জানান। পরিবেশকর্মী আনিসুর রহমান বাবুল বলেন, নদীমাতৃক এই দেশে নদী হচ্ছে আমাদের জাতীয় সম্পদ। এই সম্পদ রক্ষায় সর্বস্তরের জনগণের এগিয়ে আসা উচিত। পরিবেশ সংগঠক লায়ন ওবায়দুর রহমান বলেন, ঐতিহ্যবাহী কর্ণফুলী নদী দূষণে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাবে। নদী দূষণ রোধে সচেতন নাগরিকদের এগিয়ে আসা উচিত। তিনি নদী রক্ষায় বিভিন্ন ময়লা আবর্জনা খালে নদীতে না ফেলার অনুরোধ জানান। বক্তব্য রাখেন রেহানা বেগম রানু, ধরার অন্যতম সংগঠক ইমাম হোসেন চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভূগোল বিভাগের প্রফেসর ইকবাল সারোয়ার। সভাপতির বক্তব্যে জেলা গভর্নর কোহিনূর কামাল সদ্য হওয়া বন্যার উদ্ধৃতি টেনে বলেন, এই বন্যার অন্যতম কারণ হলো আমাদের খাল নদী নালা গুলো সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করা এবং প্লাস্টিক ব্যবহার না কমানো। আজকের কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ধরা চট্টগ্রাম, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, ক্যাডেট ফোরাম চট্টগ্রাম, প্রাণপ্রকৃতি, লিও ক্লাব অব চিটাগাং বেঙ্গল সিটি এবং উপস্থিত সচেতন নাগরিকবৃন্দকে তিনি ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অ্যাডভোকেট কানিজ কাওসার রীমা, শাফায়াত নুপুর, আতাউল হক সুমন, ফরমান উল্লাহ, রেজাউল করিম সেন্টু , মোহাম্মদ আকতার, ক্যাডেট ফোরাম নেতৃবৃন্দ, লিও ক্লাব অব চিটাগাং বেঙ্গল সিটির লিও বৃন্দ। শেষে কর্ণফুলীর তীরে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।