সরকারি চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলন চলছে দীর্ঘদিন ধরে। পৃথিবীর অনেক দেশেই আবেদনের বয়স ৩৫ বা তার উপর। ১৯৯১ সালে দেশে চাকরির আবেদনের বয়সসীমা ২৭ বছর থেকে ৩০ বছরে করা হয়। তখন গড় আয়ু ছিল ৫৭ বছর। এখন গড় আয়ু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ বছরে। গড় আয়ু বাড়লেও চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা বাড়েনি। বিশ্বের প্রায় ১৬২টি দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা কমপক্ষে ৩৫ বছর, তারমধ্যে কিছু দেশে তা উন্মুক্ত। বর্তমানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ২৪–২৫ বছর বয়সে স্নাতক শেষ করে বের হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক শেষ করতে ২৭–২৮ বছর বয়স হয়ে যাচ্ছে। সেশনজট আর করোনার কারণে অনেক বছর চলে গেছে। বিগত কয়েক মাস ধরেই কোনো সার্কুলার আর পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না। সরকারি চাকরির বয়স সীমা ৩৫ করলে তখন সরকারি, বেসরকারি, ব্যাংক, এনজিও, কোম্পানি, সকল প্রতিষ্ঠানে ৩৫ বছর পর্যন্ত চাকরিতে প্রবেশ সুযোগ থাকবে। এতে করে একদিকে যেমন সুযোগ থাকবে চাকরিতে প্রবেশের, অন্যদিকে কমতে থাকবে বেকারত্ব। এখন বয়স ৩০ হলেই ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও বেকার হতে হয় অর্থাৎ জোর করে বেকার বানানো হয়। তাই বেকারত্ব কমাতে ৩৫ এর কোনো বিকল্প নেই।
শরীফ হাসান
চট্টগ্রাম।