চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতির নির্বাচনী কার্যক্রম ‘স্থগিত’ রাখতে বলেছে চট্টগ্রাম সমাজসেবা অধিদপ্তর। গত বুধবার সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের (অননুমোদিত) কাছে এ সংক্রান্ত পত্রও পাঠিয়েছেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. ফরিদুল আলম। প্রসঙ্গত, আগামী ৫ অক্টোবর সমিতির নির্বাচন (২০২৫–২০২৮) হওয়ার কথা রয়েছে।
সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে দেওয়া পত্রে বলা হয়, সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীন নিবন্ধিত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতির বর্তমানে কোনো অনুমোদিত কার্যকরী কমিটি নেই। এছাড়া ২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারি সমাজসেবা অধিদপ্তর সমিতির তৎকালীন কমিটিকে সাময়িক বরখাস্তপূর্বক স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ (রেজিস্ট্রেশন ও নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ১৯৬১–এর বিধান মোতাবেক প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। কাজেই সংস্থার অননুমোদিত কার্যকরী কমিটির সাধারণ সভা আহ্বান ও নির্বাচন আয়োজনের কোনো বৈধতা নেই।
পত্রে আরো বলা হয়, সমিতির কার্যক্রম বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন (নম্বর ১৬১০/২০২৩) চলমান আছে। তাই আদালতের চূড়ান্ত রায় না পাওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতির নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যক্রম স্থগিত রাখতে বলা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. ফরিদুল আলম আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতির বৈধ কোনো কমিটি নেই। তাই অননুমোদিত কমিটিকে নির্বাচনী কার্যক্রম স্থগিত রাখতে বলা হয়। জানা গেছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর সমিতির নির্বাচনী সিডিউল ঘোষণা করা হয়। সিডিউল অনুযায়ী, ১৯, ২০ ও ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণ ও গ্রহণ এবং ২২ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে। ২৮ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। ‘স্থগিত’ রাখার নির্দেশনা দিয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরের চিঠি দেওয়ার পরও নির্বাচনী কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতি নির্বাচন কমিশন (২০২৫–২০২৮) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন চৌধুরী গত রাতে আজাদীকে বলেন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের কোনো চিঠি পাইনি। পেলে নিয়ম অনুযায়ী আগাব। তবে আমরা নির্বাচন আয়োজনের কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছি।