ক্যাপসিকাম চাষে কৃষকের আগ্রহ

মাহবুব পলাশ, মীরসরাই

| শনিবার , ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ৫:২১ পূর্বাহ্ণ

নানান রংয়ের বর্ণিল ও সুদৃশ্যময় সবজি ক্যাপসিক্যাম। শহুরে মানুষের কাছে এর পরিচিতি বেশি থাকলেও সাম্প্রতিকালে গ্রামেও এর প্রসারতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। কিন্তু

কৃষকদের আক্ষেপ, বাজারজাত সুবিধা ও কৃষি বিভাগের সহযোগিতার অভাবে এই কালারফুল সবজি চাষে বেশিদূর এগোতে পারছেন না তারা।

মীরসরাই উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের ক্যাপসিক্যাম চাষি ইকবাল হোসেন জানান, গত বছর ৩০ শতক জমি বর্গা নিয়ে ক্যাপসিক্যাম চাষ করেছি। স্থানীয় বাজারে চাহিদা কম থাকায় শহরে বাজারজাত করতে হয়। তবে সেক্ষেত্রে আয়ের সাথে ব্যয়ের সমন্বয় হয় না। আবার লোকসান পোষাতে কৃষি বিভাগেরও কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায় না। এতে ইচ্ছে থাকলেও ক্যাপসিকাম চাষে অনেকে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন।

মীরসরাইয়ে সম্প্রতি নানান সুস্বাধু ও বৈচিত্র্যময় ফল চাষে অনেককেই এগিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে। উপজেলা কৃষি সুপারভাইজার কাজী নুরুল আলম বলেন, উপজেলার হিঙ্গলী গ্রামে নজরুল নামের একজন চাষি ক্যাপসিক্যাম চাষের চেষ্টা করেছেন গত বছর। কিন্তু তিনিও কৃষি বিভাগের কোনো তরফ থেকে সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, এসব চাষিদের সহযোগিতা করা প্রয়োজন। আমরা তাদের প্রতিটি ক্ষেতকে প্রদর্শনী ক্ষেতের আওতায় এনে আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতার কথা ঊর্ধ্বতন কৃষি কর্মকর্তার কাছে প্রস্তাবনা রাখবো।

আমবাড়িয়ার আরেক কৃষক জাহেদ কোরাইশী বলেন, আমাদের গ্রামের রেললাইনের পূর্বদিকে এবং মহাসড়কের পূর্ব দিকে সহজেই ক্যাপসিক্যাম চাষ সম্ভব। কৃষি বিভাগ সহযোগিতা করলে অনেক কৃষকই ক্যাপসিক্যাম, হলুদ তরমুজের মতো বাজারে চাহিদা আছে এমন ফল ও সবজি ব্যাপকভাবে উৎপাদন সম্ভব। তিনি আরো বলেন, এই অঞ্চলে ক্যাপসিকাম চাষ বৃদ্ধি পাবে শুধুমাত্র কৃষি বিভাগের সহযোগিতা পেলেই। শুধু একটি ভালো বাজার ব্যবস্থাপনার দাবি তাদের। মীরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, ক্যাপসিক্যাম সবজিটি অন্য ফলের চেয়ে যেমন সুন্দর তেমনি পুষ্টিকর। কৃষকরা যেহেতু এখানে এই সবজি ও ফল উৎপাদনে আগ্রহী আমরাও আগামীতে সর্বাত্মক সহযোগিতার উদ্যোগ গ্রহণ করবো। তিনি আরো বলেন, পরিপক্ব হওয়ার পর প্রতিটি ক্যাপসিকামের ওজন ২৫০ গ্রামও হয়। যা বাজারে বিক্রি করে কিছু কৃষক পরিবারের অভাবঅনটন ঘুচবে বলে আশাবাদী তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা ক্যাপসিকাম সবজিটি খাওয়ায় অভ্যস্ত না হওয়ায় সময় লাগছে হয়তো। তবে সামনে স্থানীয় বাজারেও ক্যাপসিকাম ভাল বিক্রি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধছাত্র আন্দোলনে আহতদের ২৩ লাখ টাকা অনুদান অঙ্গীকার ফাউন্ডেশনের