সীতাকুণ্ড শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে সংগঠিত ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ৬ জন শ্রমিক নিহত এবং আওর ৬ গুরুতর আহত হওয়ার প্রতিবাদে গতকাল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। জাহাজভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরামের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি তিনটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ সাদি উর রহিম জাদিদ এর হাতে তুলে দেন ফোরামের আহ্বায়ক তপন দত্ত এবং যুগ্ম আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দিন।
এ সময় জাহাজভাঙা শ্রমিক সেফটি কমিটির আহ্বায়ক এডভোকেট জহির উদ্দিন মাহমুদ, শ ম জামাল উদ্দিন, জাহাজভাঙা শ্রমিক সেফটি কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আলী, যুগ্ম সদস্য সচিব মোঃ ইদ্রিছ এবং ইপসার সহকারি পরিচালক মোঃ আলী শাহিন, টিইউসি চট্টগ্রাম জেলার যুগ্ম সম্পাদক ইফতেখার কামাল খান এবং বিলস–ডিটিডিএ প্রকল্পের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কেন্দ্রের সমন্বয়ক ফজলুল কবির মিন্টু উপস্থিত ছিলেন। স্মারকলিপিতে ফোরামের পক্ষ থেকে জাহাজভাঙা সেক্টরে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, জীবনমান উন্নয়ন এবং শোভনকাজ বাস্তবায়নে ১১ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।
স্মারকলিপি প্রদানের পূর্বে গতকাল সকাল ১০টায় জেলা পরিষদ মার্কেট চত্বরে এক প্রতিবাদী মানববন্ধন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ফোরামের আহ্বায়ক তপন দত্তের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ফজলুল কবির মিন্টুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য প্রদান করেন ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দিন, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শ ম জামাল উদ্দিন, বাংলাদেশ মেটাল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, জাহাজভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরামের সদস্য মাহাবুবুল আলম, ইপসার সহকারী পরিচালক মোঃ আলী শাহিন, বাংলাদেশ মুক্ত শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম জেলার যুগ্ম সম্পাদক মোঃ ইদ্রিস প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে নিহত সকল শ্রমিকদের জন্য এককালীন ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত সুচিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ, বন্ধকালীন সময়ে সকল শ্রমিকদের শ্রম আইনের ১২(৭) ধারা অনুসারে ইয়ার্ড না খোলা পর্যন্ত নিয়মিত বেতন প্রদানের দাবি জানানো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।