বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ছাত্র–জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা দুই হাজার মানুষকে খুন করেছেন। গত ১৫–১৬ বছরে সব রকমভাবে আমাদের নির্যাতন করা হয়েছে। বিএনপি–জামায়াত করার কারণে আমাদের জেলে রাখা হয়েছে। নির্যাতনের স্টিমরোলার চালানো হয়েছে। আওয়ামী লীগের মতো আচরণ করলে তাদের মতো আমাদের পরিণতি হবে। খবর বাংলানিউজের।
গতকাল বুধবার দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা ঈদগাহ ময়দানে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় এসব বলেন তিনি। মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীকে ক্ষমা করেন না। তিনি যাকে খুশি মালিক বানান আবার যাকে খুশি ফকির বানিয়ে দেন। শেখ হাসিনা নিজেকে রাজরানি মনে করেছিলেন। তাকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে। গণভবনে ছাত্র–জনতার আগমন দেখে ভয়ে হেলিকপ্টারে করে ভারতে পালিয়েছেন। প্রভাবশালী হাসিনা ভয়ে ভারতে গিয়ে করুণ অবস্থায় আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি নিজে এগারো বার কারাবরণ করেছি। যারা আমাদের ওপর নির্যাতন করেছে, আমাদের শাসন করেছে, জমি দখল করেছে–তারা এখন জেলে। বিএনপি–জামায়াতের মানুষকে নির্যাতন করার জন্য তারা আয়নাঘর বানিয়েছিল। গোলাম আজমের ছেলে আজমীকে আট বছর ধরে আয়নাঘরে নির্যাতন করেছে। আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে তারা গুম করেছে। এখনো অনেক মানুষের খবর আমরা পাইনি।
সীমান্তে গুলি করলে কড়া জবাব দেওয়া হবে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ভারত সীমান্তে আমাদের গুলি করে। আমরা ভালোভাবে থাকতে চাই। তবে গুলি করলে প্রতিবাদ করা হবে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা আমাদের দিতে হবে। আমাদের সবার কাছে প্রিয় হতে হবে। আওয়ামী লীগের মতো আচরণ করলে তাদের মতো আমাদের পরিণতি হবে।
ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে তিনি বলেন, উনি বলতেন খেলা হবে, পালাব না। পালালে দেশের বাইরে যাব না। আমার বাসায় আসবেন। এখন তিনি কোথায় চলে গেছেন, তা দেশবাসীও জানে না। অনেকে বলে, ভারতে চলে গেছেন। এ দেশের মানুষের বিরুদ্ধে ছিলেন বলেই আজ পালিয়ে যেতে হয়েছে।