সহকর্মীদের ক্ষোভের মুখে অফিস ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক অভিনেত্রী জ্যোতিকা পাল জ্যোতি। একাডেমির একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, জ্যোতি অফিস থেকে কিছু নথি নিয়ে যেতে চাইলে তাকে বাধা দেওয়া হয়। খবর বিডিনিউজের।
তাছাড়া ছাত্র–জনতার আন্দোলনের সময় আলো আসবেই নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জ্যোতি যুক্ত থাকায় একাডেমির কর্মীদের একটি অংশ তার উপর ক্ষুব্ধ ছিল। গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দেড় মাস পর মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো অফিসে আসেন জ্যোতি। এদিন অফিসে আসার পর থেকেই একাডেমির কর্মীদের একটি অংশ তার কক্ষের সামনে এসে তাকে অফিস থেকে চলে যেতে বলেন। জ্যোতি আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর এবং রাজনৈতিক ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি শিল্পকলায় পরিচালকের দায়িত্ব নিয়েছেন বলে অভিযোগ তোলেন বিক্ষুব্ধরা। জ্যোতিকা জ্যোতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের শেষের দিকে গত বছরের ১৪ মে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালকের দায়িত্বে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান জ্যোতি। শিল্পকলায় তার সঙ্গে কী হয়েছে জানতে চাইলে জ্যোতিকা জ্যোতি বলেন, আমি তো এখনও শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক পদে বহাল আছি। আমাকে দুই বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সেই নিয়োগ তো বাতিলও করা হয়নি, আমিও পদত্যাগ করিনি। তাহলে আমি আমার অফিসে যেতে পারব না কেন? নিজের অফিসে গিয়ে এমন আচরণের মুখোমুখি হব, আশা করিনি।