প্রিয় আজাদীর গৌরবময় পথচলা

লিপি বড়ুয়া | বুধবার , ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ৫:২৪ পূর্বাহ্ণ

স্বাধীনতার প্রথম দৈনিক প্রিয় আজাদী চট্টগ্রামের ভোরের পাখি। দৈনিক আজাদী সকালে আলো ফোটার সাথে সাথে সকলের ঘরের দরজায় কড়া নেড়ে বলে আমি তোমাদের জন্য খবর নিয়ে এসেছি। হরেক রকমের খবর দেশের খবর নগর বন্দর গ্রামের খবর। কৌতুক বিনোদন সাংস্কৃতিক খবর সব ধরনের নতুন খবর। আহা! সকালে এক কাপ চায়ের সাথে দৈনিক আজাদী যেন ভালোবাসার এক জীবন্ত ছবি। ছোট বেলা থেকেই আমার আজাদীর সাথে সখ্যতা। গ্রামে থাকার সময়ে বাবা অফিস থেকে ফেরার পথে সাইকেলের পেছনে আটকানো একটি আজাদী পত্রিকা থাকতো। বাবা বাড়ি আসলে আমরা ভাইবোন মিলে কার আগে কে পড়বো একটা হৈচৈ শুরু হয়ে যেতো। আমাদের নিয়মিত পত্রিকা পড়ার অভ্যাস তৈরি করে দিয়েছেন বাবা। বিয়ের পর শশুরবাড়ি এসেও দেখলাম আমার শশুরের পত্রিকা পড়ার অভ্যাস রয়েছে তাও আবার সেই প্রিয় আজাদী। আমি তো ভীষণ খুশি। হকার কোনো অসুবিধার কারণে একদিন না আসলে আমাদের সে কি অন্তরজ্বলা। কিসের যেন অপূর্ণতা।

পত্রিকাটির এত জনপ্রিয়তার কারণ হলো সততার সাথে দায়িত্বশীলতার সাথে সময়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সংবাদ প্রকাশিত হওয়া। এই পত্রিকার পেছনে নিরলস শ্রম দিচ্ছে এক ঝাঁক মেধাবী পরিশ্রমী নিবেদিত প্রাণ সাংবাদিক। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে আমাদের হাতে এসে পৌঁছায় একটি মানসম্মত রুচিস্নিগ্ধ ঝকঝকে পত্রিকা। দৈনিক আজাদী দৃঢ়ভাবে পালন করে চলেছে কল্যাণমুখী, মানবব্রতী ও দেশব্রতী ভূমিকা। দলমতের ক্ষেত্রে আজাদী অনুসরণ করেছে নিরপেক্ষ ইতিবাচক প্রগতিশীল ভূমিকা। আর এ জন্য আজাদী পেয়েছে ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা। দৈনিক আজাদী আজ গণমানুষের ভালোবাসার প্রিয় পত্রিকা হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।

একুশে পদক প্রাপ্ত বর্তমান যোগ্য সম্পাদক শ্রদ্ধেয় এম এ মালেক স্যার। এত নিরহংকার মহাপ্রাণ গুণী ব্যক্তিত্ব আজকাল খুব কম দেখা যায়। তাঁর আচরণ একেবারে সাধারণ। হাসিমুখে সকলের সাথে কথা বলেন। সকল লেখকদের লেখালেখিতে এগিয়ে আসতে অনুপ্রাণিত করেন। আমি দীর্ঘদিন আজাদীর একনিষ্ঠ পাঠক হিসেবে ছিলাম, এখনো আছি এবং বর্তমানে অল্পস্বল্প লেখালেখি করার কারণে দৈনিক আজাদী পত্রিকার একজন নিয়মিত লেখক হওয়ার সুযোগ লাভ করতে সক্ষম হয়েছি। কলমের আঁচড়গুলো আজাদী ছাপার অক্ষরে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেয় যত্ন করে। এখন আমিও আজাদী পরিবারের একজন কনিষ্ঠ সদস্য, এটা আমার জন্য ভীষণ গৌরবের। আজাদীর সাথে পথচলা নিয়মিতভাবে। এই পত্রিকাটির সাথে সম্পর্কটা আরো গভীর থেকে গভীরতর হয়ে উঠছে দিনে দিনে। ৬৫ বছরের একটি স্বর্ণালি অধ্যায় তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে এই পত্রিকাটি। লেখক পাঠকদের সমানতালে মূল্যায়ন করে চলছে নিরলসভাবে। নন্দিত নির্ভরযোগ্য বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে দৈনিক আজাদী পত্রিকার ভূমিকা অনন্য অসাধারণ। দৈনিক আজাদী পত্রিকার শ্রদ্ধাভাজন সম্পাদক সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আবারও আন্তরিক শ্রদ্ধা কৃতজ্ঞতা ভালোবাসা জানাই।

লেখক : কবিগল্পকার

পূর্ববর্তী নিবন্ধআজাদীর প্রতি ভালোবাসা
পরবর্তী নিবন্ধপ্রবাহ