কক্সবাজারে ৫০১ মিলিমিটারের রেকর্ড বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ক্ষত–বিক্ষত হয়েছে কলাতলী এবং সুগন্ধা সমুদ্র সৈকত। পানি যাওয়ার পথ না পেয়ে ঢল নেমেছে সৈকতে। এতে সড়কের সাথে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে বালিয়াড়ি। যেদিক থেকে পানি নেমেছে সৃষ্টি হয়েছে ছোট–বড় গর্ত। যা দেখলে মনে হবে খাল বা নালা। এতে সৌন্দর্য্য হারিয়েছে সৈকত। পাশাপাশি চলাফেরা করতে কষ্ট হচ্ছে পর্যটক এবং স্থানীয়দের।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে সৈকতের কলাতলী এবং সুগন্ধা পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, সৈকতে প্রবেশের সড়ক লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে বিশাল গর্ত। প্রবেশ পথ থেকে বালিয়াড়ি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। যা ছুঁয়েছে সাগরের পানি পর্যন্ত। বিগত দেড় মাস ধরে এই অবস্থা সৃষ্টি হলেও তাতে কোনো মাথা ব্যথা নেই জেলা প্রশাসনের।
স্থানীয় এবং ব্যবসায়ীরা বলছেন, এর আগের বৃষ্টিতেই ক্ষত–বিক্ষত হয়েছিলো সৈকত। এবারের বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলে যার পরিমাণ অনেক বেড়েছে। কিছু ব্যবসায়ী কলাতলীর রাস্তা মেরামত করেছে। যেকারণে পর্যটকরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে পারছে।
কলাতলীর শুটকি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইসা বলেন, বৃষ্টি হলেই পানি কোথাও যেতে না পেরে সৈকতে নেমে আসে। বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় দেখতে খালের মতো লাগছে। এ কারণে পর্যটকদের চলাচল করতে কষ্ট হচ্ছে। সৃষ্ট গর্ত দ্রুত মেরামত করা হলে ব্যবসাও বন্ধ হয়ে যাবে।
পর্যটক আহসান মুরাদ বলেন, ঘুরতে এসে সুগন্ধা পয়েন্টে গিয়ে দেখি বালিয়াড়ি খণ্ড খণ্ড হয়ে গেছে। এতে পুরো সৈকতের লাবণ্যতা কমে গেছে।
জেলা প্রশাসনের বিচ কর্মীদের সুপারভাইজার মাহাবুব আলম বলেন, পাহাড়ি ঢলে সমুদ্র সৈকতের কলাতলী এবং সুগন্ধা পয়েন্ট ভেঙে গেছে। পর্যটকদের দুর্ভোগ লাঘবে চলাফেরার জন্য মাটির বস্তা বসানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) মো. তানভীর হোসেন বিষয়টি নিয়ে বলেন, সৈকতের কলাতলী ও সুগন্ধা পয়েন্টে ভাঙনের বিষয়টি নজরে এসেছে। অতিদ্রুত ভাঙনে সৃষ্টি হওয়া গর্ত ভরাট করে সৈকতের সৌন্দর্য্য ফিরিয়ে এনে চলাচল উপযোগী করা হবে।