কা’বা ঘর নির্মিত হয়েছিল মহান আল্লাহ্ পাকের ইবাদতের জন্য। কিন্তু মক্কার কাফের, মুশরিকরা তাতে ৩৬০ টি মূর্তি স্থাপন করে সেগুলোকে পূজা করত এবং শিরক্ করত। এ দিকে কা’বা ঘর তাঁর ভাষায় আল্লাহ্‘র দরবারে সেই প্রতিশ্রুত আখেরী নবীর আগমনের আবেদন করত যার মাধ্যমে কা’বা ঘর মূর্তি ও শিরক্ মুক্ত হবে। পরবর্তীতে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার সুবহে সাদিকের সময় কা’বা ঘরের সেই অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো নবীজি (দঃ) পৃথিবীর জমিনে আগমন করলেন আর নবীজির আগমনে কা’বা ঘর খুশীতে ও আনন্দে নেচে উঠেছিল। এবং তখন কা’বা ঘর থেকে যেন নিম্নোক্ত কবিতার গুঞ্জন উচ্চারিত হচ্ছিল – ভূমিষ্ট হয়েছেন সেই মোস্তফা মুখতার,/ যাঁর হাতে ধ্বংস হবে আছে যত কুফ্ফার। মূর্তি পূজা মুক্ত কা’বা তিনি দিবেন যে উপহার,/ সাথে আদেশ দিবেন করতে যেন ইবাদত আল্লাহ্‘র। অতএব, এই ধরাধামে প্রিয় নবীজি (দঃ)’র আগমনে মানুষ, জীন ও ফেরেশতা জাতি সহ সমস্ত জগতই শুধু খুশি হয় নি বরং পৃথিবীর কেন্দ্র বিন্দুতে অবস্থিত মুসলমানদের কিবলা মহান আল্লাহ্‘র ঘর পবিত্র কা’বা ঘরও খুশি ও আনন্দ উদযাপন করেছিলো।