রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান এলাকায় বিএনপি নেতার ঘরবাড়ি ভাঙচুর লুটপাট ও ঘরবাড়ি দখলের অভিযোগ এনে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে অভিযুক্ত করে ৫ জনের নামে থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে এবং চারজনের নামে আদালতে মামলা করা হয়েছে। ঘটনার প্রায় ১২ বছর পর উপজেলা বিএনপি নেতা হাজী ইলিয়াস সিকদার বাদী হয়ে মামলাটি করেন। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান এলাকায় নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা হাজী ইলিয়াস মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। থানায় লিখিত অভিযোগে হাছান মাহমুদের নাম উল্লেখ করা হলেও আদালতের মামলায় হাছান মাহমুদের অনুসারী পূর্ব কোদালা রাইখালী এলাকার ইকবাল হাসান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক চন্দ্রঘোনা আধুরপাড়া এলাকার আবু তাহের, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুল জব্বার ও নুরুল আলমকে বিবাদী করে এই মামলাটি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হাজী ইলিয়াস জানান, ২০১২ সালের ২৫ আগস্ট রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা–কদমতলী ইউনিয়নের লিচুবাগান এলাকায় তার বসতঘরে ঢুকে ভাঙচুর–লুটপাট করা হয়। নিয়ে যাওয়া হয় ৪ ভরি স্বর্ণ, পাকা ভবন নির্মাণের জন্য আনা লোহা, সিমেন্ট ইটসহ অন্তত ৪০ লাখ টাকার মালামাল। এছাড়া তার স্ত্রীকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে সেমিপাকা ঘরসহ ১০ শতক জায়গা দখল করে নেয়। তাদের হাতে মারাত্মক ও দেশীয় অস্ত্র থাকায় প্রাণের ভয়ে তিনি ও তার পরিবার এলাকা ত্যাগ করেন।
হাজী ইলিয়াছ আরও বলেন, ঘটনার প্রায় ১২ বছর পর ১ সেপ্টেম্বর রাঙ্গুনিয়া থানার সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী হাসান মাহমুদ ও তার কেয়ার টেকার ইকবাল হাছান চৌধুরীসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন তিনি। আদালতে হাছান মাহমুদ ছাড়া বাকী চারজনের নামে মামলা দায়ের করেন।
তার দাবি, তৃণমূল থেকে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং সর্বশেষ উপজেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিভিন্ন ‘মিথ্যা’ মামলার শিকার হয়েছেন।