পাকিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক সিরিজ খেলে এসে এবার ভারত গেল বাংলাদেশ দল। যদিও প্রতিপক্ষ হিসেবে পাকিস্তানের চেয়ে ভারত অনেক কঠিন। তারপরও পাকিস্তানের সুখ স্মৃতিকে সঙ্গী করে ভাল কিছু করার আশায় ভারত সফরে গেল বাংলাদেশ দল। যাওয়ার আগে টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানালেন–প্রতিটি ম্যাচ আমরা জেতার জন্য খেলব। ভারতের বিপক্ষে কখনও টেস্ট না জেতার প্রসঙ্গ এলে এবার ভালো কিছুর আশাবাদ শোনালেন শান্ত। এই অভিযানে তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে ভারতের উইকেট। তবে তা নিয়ে বেশি ভাবতে চান না বাংলাদেশ অধিনায়ক। দেশ ছাড়ার আগে নিজেদের শক্তিতে আস্থা রাখার কথা বললেন তিনি। দুই টেস্ট ও তিন টি–টোয়েন্টি খেলতে গতকাল রোববার দুপুরের ফ্লাইটে ভারত গেছে বাংলাদেশ দল। তিন দিন অনুশীলনের পর চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে আগামী বৃহস্পতিবার শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট।
সাধারণত তুলনামূলক ধীর ও নিচু গতির হয়ে থাকে চেন্নাইয়ের উইকেট। তাই সামনের ম্যাচে স্পিন সহায়ক উইকেট রাখা হবে কিনা, তা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। তবে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের সবশেষ ভারত সফরে দাপট দেখান স্বাগতিক পেসাররা। দুই টেস্টে ৪০ উইকেটের ৩৩টি নিয়েছিল তারা।
ভারতের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার আগে বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপের শুরুতেই শান্তর কাছে জানতে চাওয়া হয় ভারতের উইকেটের ব্যাপারে। সেই বিষয়ে তেমন কিছু না ভেবে নিজেদের বোলিং বিভাগের ওপর আস্থার কথা বলেন তিনি। ‘পিচের ব্যাপারে ভারত কী চিন্তা করছে, এটা তো বলতে পারব না। তবে আমাদের স্পিন, পেস বিভাগ ভালো একটা অবস্থানে আছে। তবু ওই দলের সঙ্গে অভিজ্ঞতার দিক থেকে আমাদের পেসাররা তুলনামূলকভাবে একটু পিছিয়ে আছে। স্কিলের দিক থেকে হয়তো কাছাকাছি আছে। তবে অভিজ্ঞতার দিক থেকে ওই দলকে এগিয়ে রাখব। আমাদের স্পিনারদের খুব ভালো অভিজ্ঞতা আছে যেকোনো কন্ডিশনে বোলিং করার। ওই সামর্থ্য তাদের আছে। আমি এতটুকু বলতে পারি পেসার, স্পিনার, ব্যাটসম্যান যারাই খেলবে এই সিরিজে, প্রত্যেকে শতভাগ দেবেন। আর আমি বিশ্বাস করি, পাঁচদিন যদি আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি তাহলে রোমাঞ্চকর একটা ম্যাচ হবে।’
২০০০ সালে অভিষেক টেস্টের পর থেকে ভারতের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ১৩টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ১১টিই জিতেছে ভারত। বৃষ্টির ক্যলানে ২০০৭ ও ২০১৫ সালে একটি করে ম্যাচ ড্র করতে পেরেছে বাংলাদেশ।