চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে রয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. শহিদুল ইসলাম বিষয়টি দৈনিক আজাদীকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিজিবির একটি মামলার কারণে বর্তমানে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে রয়েছেন। আমরা ওখানকার আদালতে শ্যোন অ্যারেস্ট পাঠাবো। তাঁরপর আদালত নির্দেশ দিলে চট্টগ্রামে নিয়ে আসবো।’
গত বৃহস্পতিবার ‘অবৈধভাবে’ ভারতে যাওয়ার চেষ্টাকালে সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে ফকির মোড়া বিওপির টহলদল আখাউড়া সীমান্তের আব্দুল্লাহপুর এলাকা থেকে সাবেক এমপি ফজলে করিম চৌধুরীসহ তিনজনকে আটক করেন বিজিবি।
আটক বাকিরা ছিলেন-আখাউড়ার নূরপুর এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মো. হান্নান মোল্লা এবং আখাউড়ার স্থানীয় বাসিন্দা ও মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য মো. নাঈম চৌধুরী।
সাবেক এই সংসদ সদস্যের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা এসপি (পুলিশ সুপার) রায়হান উদ্দিন খান বলেন, ‘আমরা সাবেক এমপিকে আনতে গিয়েছিলাম কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজিবি একটি মামলা দিয়েছেন। যা আদালতে শুনানি হবে হয়তো ১০ দিন পরে। সেজন্য সম্ভবত আগামী ১৮ তারিখ বা তারপরে তাঁকে চট্টগ্রামে আনা হবে।’
আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর গত ১৯ অগাস্ট ফজলে করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে একটি মামলা করেন রাউজানের পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজদৌল্লাহ। দুই বছর আগে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় করে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ আনা হয় সেখানে।
এজাহারে বলা হয়, ২০২২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সকালে ফজলে করিম চৌধুরীর ‘নির্দেশে’ অন্য আসামিরা মামলার বাদী সিরাজদৌল্লাহর বাড়িতে ঢুকে তাকে ‘হত্যার চেষ্টা’ চালায়। এরপর স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুটের পাশাপাশি চেয়ারম্যানকে ‘অপহরণ করে আটকে রাখে’।
পরে ‘হত্যার ভয় দেখিয়ে’ তার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা আদায় করে আসামিরা। পরদিন ‘অস্ত্র দিয়ে ফাঁসিয়ে’ রাউজান থানায় সিরাজদৌল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।