দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সংস্কারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গড়া প্যানেলের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন অধ্যাপক এম এ ফয়েজ। গত শুক্রবার বিকালে তিনি স্বাস্থ্যসচিব বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। গতকাল শনিবার সকালে অধ্যাপক এম এ ফয়েজ বলেন, ব্যক্তিগত কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন। ব্যক্তিগত কারণে আমার পক্ষে এ দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য আমি পদত্যাগ করেছি। খবর বিডিনিউজের।
ছাত্র–জনতার গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রশাসনে ব্যাপক রদবদল করেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন পদেও আসে এই পরিবর্তন। স্বাস্থ্যব্যবস্থার বিষয়ভিত্তিক প্রয়োজনীয় সংস্কার, চিকিৎসাসেবার গুণগত মানোন্নয়ন ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার কাঠামো শক্তিশালী করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৩ সেপ্টেম্বর বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি প্যানেল গঠন করে। এই প্যানেলের সভাপতি করা হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক এম এ ফয়েজকে। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লাহ শাফি মজুমদারকে সদস্য সচিব করে গঠিত প্যানেলের সদস্য সংখ্যা ১২ জন।
৩ সেপ্টেম্বরের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিশেষজ্ঞ প্যানেল দেশের বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় বিষয়ভিত্তিক সংস্কারের জন্য নীতি–নির্ধারণ করবে। সকল স্তরে চিকিৎসা শিক্ষার বিশ্বমানের স্বীকৃতি এবং উচ্চশিক্ষাকে আধুনিকায়নের বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া, নগর, গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সংস্কার ও তা কার্যকর করবে। এই প্যানেল দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামো শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জনবল ও যন্ত্রপাতির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় নীতি–নির্ধারণী ও কাঠামোগত সংস্কার সম্পর্কিত পরামর্শ দেবে। দেশের প্রধান প্রধান চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিএমডিসি, বিএমআরসি, বিএনএমসিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর প্রয়োজনীয় সংস্কার ও শক্তিশালী করতে পরামর্শ দেওয়ার কথা ছিল এই প্যানেলের।