শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণে গড়ে ওঠা ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’ নামে সংগঠনটির সব কমিটি ও কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। গত শুক্রবার শেষ রাতের দিকে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির সকল কমিটি ও কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
‘সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের’ অন্যতম নেতা আখতার হোসেনের নেতৃত্বে ২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর ছাত্রশক্তি আত্মপ্রকাশ করলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আগে তাদের সম্পর্কে খুব বেশি আলোচনা ছিল না। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্বে দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অগ্রভাগে দেখা যায় সংগঠনটির শীর্ষ পর্যায়ের ছাত্রনেতাদের। তাদের মধ্যে দুজন নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ ক্ষমতার পালাবদলে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হয়েছেন। খবর বিডিনিউজের।
ছাত্রশক্তির ফেসবুক পেইজে পোস্ট করে কমিটি ভেঙে সংগঠনের সব কার্যক্রম স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হলেও তার কারণ স্পষ্ট করা হয়নি। এ বিষয়ে আখতার হোসেন বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর আমাদের মধ্য থেকে দুই জন উপদেষ্টা হয়েছেন এবং ছাত্র রাজনীতির রূপরেখা কেমন হবে, তা নিয়ে ক্যাম্পাস, শিক্ষার্থী ও ছাত্র সংগঠনের মধ্যে এক ধরনের অস্পষ্টতা দেখা দিয়েছে। নীতি নির্ধারণের বিষয়েও নতুন অনেক কিছু তৈরি হয়েছে। এসব কারণেই আমরা ছাত্রশক্তির সব কমিটি ভেঙে কার্যক্রম স্থগিত করেছি।
পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকেই ছাত্রশক্তি অনেকটাই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে বলে মনে করেন আখতার হোসেন। ফলে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির ব্যানারে কোনো আয়োজন বা তাদের ফেসবুক পেইজেও কোনো কার্যক্রম না থাকার কথা তুলে ধরেন তিনি। সামনের দিনে ছাত্রশক্তি কীভাবে চলবে বা পুনর্গঠন করা হবে কিনা, তা এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্তরাই নির্ধারণ করবেন বলে মত দেন আখতার হোসেন। তিনি বলেন, নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ যেহেতু উপদেষ্টা হয়েছেন এবং আমি জাতীয় নাগরিক কমিটিতে এসেছি, আমরা আর গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার বা পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকছি না। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সমন্বয়কদের মধ্যে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির নেতাদের আধিক্যের তথ্য সামনে আসে। সমন্বয়কদের কমিটির তালিকায় ২৩ জনের মধ্যে ৯ জনই ছিলেন ছাত্রশক্তির শীর্ষ পর্যায়ের নেতা। সহসমন্বয়ক হিসেবে যারা সামনে আসেন, তাদেরও অনেকে ছাত্রশক্তির বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্বে ছিলেন।