দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টি, দুর্ভোগ

কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ৪:৫৯ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের দক্ষিণপূর্বাংশ ও তৎসংলগ্ন উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি স্থল নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। গত রাত ৯টায় এটি ভোলা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় স্থল নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি আরো উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক) এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে বিডিনিউজ সূত্রে জানা যায়, ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম বিভাগসহ দেশের উপকূলীয় এলাকায় বন্যার ঝুঁকি রয়েছে জানিয়ে ওইসব এলাকার কর্মকর্তাকর্মচারীদের ছুটি বাতিল করেছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

এর আগে সক্রিয় মৌসুমী বায়ু ও নিম্নচাপের প্রভাবে গতকালও বৃষ্টি হয়েছে নগরে। দুপুর ১২টার পর শুরু হয় বৃষ্টি। এরপর দিনভর থেমে থেমে হওয়া এ বৃষ্টিতে দুর্ভোগ হয়েছে নগরবাসীর। রাত পৌনে ১১টায় এ রিপোর্ট লেখাকালীনও বৃষ্টি পড়ছিল। বৃষ্টি হলেও দিনে তেমন কোথাও জলজট হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে রাতে মুরাদপুর, কাপাসগোলা, ডিসি রোড গণি কলোনি, কাতালগঞ্জ বৌদ্ধ মন্দিরসহ কয়েক জায়গায় জলাবদ্ধতা হয়েছে। এর আগে দিনে রাহাত্তারপুল এলাকার নিচু সড়ক, বাকলিয়া এবং আগ্রাবাদ চৌমুহনী এলাকার পাশে জলজট হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। এদিকে গতকাল ছিল জুমার দিন। বৃষ্টিতে মুসল্লিদের ভোগান্তি হয়েছে বেশি।

বৃষ্টির পরিমাণ : পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেল ৩টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১১৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

চট্টগ্রাম পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা আবদুল বারেক জানান, বেলা ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত : গতকাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম, কঙবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

দুপুর ১টায় দেয়া এ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের দক্ষিণপূর্বাংশ ও তৎসংলগ্ন উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি গতকাল দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কঙবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা, আছে পাহাড় ধসের ঝুঁকি : চট্টগ্রাম পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা আবদুল বারেক জানান, আজ অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের কারণে পাহাড়ী এলাকায় ভূমি ধসের সম্ভাবনা রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রবল বর্ষণে মহেশখালীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
পরবর্তী নিবন্ধচকরিয়া-পেকুয়ার ১০ ইউনিয়ন পানির নিচে