দেশের বিভিন্ন মাজারে সামপ্রতিক হামলা–ভাঙচুরের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিচার দাবি করেছেন দেশের ৪৬ নাগরিক। হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তারা বলেছেন, ‘গত কয়েকদিনে দেখা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে সংগঠিত হয়ে মাজারসহ আধ্যাত্মিক স্থাপনায় হামলা হচ্ছে। এর আগে আমরা দেখেছি মন্দিরে হামলা হতে। এসব কোনো ঘটনায় কাউকে বিচারের আওতায় আনতে বা মামলা করার খবরও পাওয়া যায়নি। মাজারে হামলার কোনো ঘটনায়ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি। তাদের এই নিষ্ক্রিয়তা সমাজের গভীরের ক্ষতকে বিস্তৃত করবে। বিভিন্ন সমপ্রদায়ের ভেতর বিভাজন আরও বাড়াবে। যা আগের মত অগণতান্ত্রিক শক্তির হাতে বাংলাদেশকে ছেড়ে দেওয়ার ক্ষেত্র তৈরি করবে।’ খবর বিডিনিউজের।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন, অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ, সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, কবি আব্দুল হাই শিকদার, কাজল শাহনেওয়াজ, চিত্রশিল্পী মুস্তাফা জামান, অরূপ রাহী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আর রাজী, লেখক ও সম্পাদক রাখাল রাহা, শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক বীথি ঘোষ ও লেখক সালাহ উদ্দিন শুভ্র।
গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বগ্রহণের এক মাস পর সমপ্রতি দেশের বিভিন্ন মাজারে হামলার ঘটনা ঘটছে। গত কয়েক দিনে নারায়ণগঞ্জের দেওয়ানবাগ, সিলেটের শাহপরাণ ও সিরাজগঞ্জের কয়েকটি মাজারে হামলা ও অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে হামলা বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ৪৬ নাগরিকের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দেখেছি, প্রায় সব ধরনের ধর্মীয় সমপ্রদায়ের প্রতিষ্ঠান বা বাসাবাড়িতে হামলা হয়েছে। এগুলো বন্ধে অথবা হামলার পর দোষীদের আইনের আওতায় আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যর্থ ছিল। অনেক ক্ষেত্রে হামলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়িত ছিল বলে তথ্য রয়েছে। নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে আওয়ামী লীগ সরকার সমাজে গভীর বিভাজন সৃষ্টির জন্য এসব করেছিল বলে অনেকের ধারণা।