ছাত্র–জনতার প্রবল আন্দোলনে নিহতদের তালিকা চূড়ান্ত না হওয়ায় তাদের সম্মানে অনুষ্ঠেয় স্মরণ সভার তারিখ পেছানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, শহীদদের স্মরণ সভা আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর (কাল) হচ্ছে না। কাছাকাছি কোনো সময়ে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আহত ও নিহতদের তালিকা প্রস্তুত করছে। এই তালিকা চূড়ান্ত করা যায়নি, তালিকা চূড়ান্ত হলে শহীদদের স্মরণ সভা আয়োজন করব। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। খবর বিডিনিউজের।
নাহিদ ইসলাম জানান, আন্দোলনের মধ্যে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের পাঁচজন নিহত ও ৯৮ জন আহত হয়েছেন। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৭২৮ জন নিহত ও ২০ হাজার ২৬৩ জন আহতের তালিকা সরকারের কাছে এসেছে। তিনি বলেন, বেসরকারি বিভিন্ন উৎস অনুযায়ী ৮০০ জন শহীদের একটা তালিকা আছে। সেগুলো ভেরিফাই করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসকদের বলা হয়েছে যেন প্রতিটি জেলা থেকে একটা তালিকা পাঠানো হয়। আগামী রোববারের মধ্যে একটা চূড়ান্ত তালিকা পাওয়া যাবে।
স্মরণ সভা পালনে মঙ্গলবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে একটি প্রস্তাব পাস হয়। বৈঠকের পর অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ জানান, এই অনুষ্ঠান আয়োজনে ৫ কোটি টাকার বেশি খরচ হবে। এরপর থেকেই ওই ব্যয়ের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। এ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, স্মরণ সভার বাজেট নিয়ে কিছু কথা উঠেছে। সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনা হচ্ছে। ৫ কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু খরচ আরও কমের মধ্যেই হবে। সিংহভাগ খরচ মূলত ৬৪ জেলা থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আসা, একরাত ঢাকায় অবস্থান করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে– বিধায় খরচ হবে। সাজসজ্জা বা অতিরিক্ত খরচ করার কোনো ব্যবস্থা নেই। এটা একটা রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান। আমরা চেয়েছিলাম সব শহীদ পরিবারকে একত্রিত করা এবং রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়া। এটা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে হবে।