সীতাকুণ্ডে শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড এস এন কর্পোরেশনের ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় মারা গেলেন খাইরুল ইসলাম (২১) নামের আরও এক শ্রমিক। গতকাল সোমবার ভোরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সে পিরোজপুরের কাউখালী থানার দাশের কাঁথি গ্রামের কামাল শেখের ছেলে। এ পর্যন্ত বিস্ফোরণের ঘটনায় দুজন মারা যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন আরো ১০জন। এর আগে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যায় শ্রমিক আহমেদ উল্লাহ (৩৮)। বর্তমানে দশ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন তাদের মধ্যে ৬ জন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। তাদের অবস্থা আশংকা জনক। বাকি চারজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন তারা হলেন, মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৮), আবুল কাশেম (৩৯), বরকাতুল্লাহ (২৩), আনোয়ার হোসেন (৪৫), আল–আমিন (২৩) ও হাবিব (৩৫)। বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার অ্যান্ড রিসাইকেলিং অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসবিএ) সদস্য সচিব নাজমুল ইসলাম বলেন, শিপ ইয়ার্ডে পাম্প রুমে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় ১২ জন গুরুতর আহত হয়। গত শনিবার ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পথে একজন মারা যায়। আজ সকালে আরো একজন মারা যায়। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দুইজন।