যুক্তরাষ্ট্রে নভেম্বরের আসন্ন নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘জাতীয় নিরাপত্তা ও গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক’ আখ্যা দিয়েছেন ১০ জন অবসরপ্রাপ্ত শীর্ষ মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা। গতকাল সোমবার প্রকাশিত এক চিঠিতে এই কর্মকর্তারা ট্রাম্পকে নিয়ে ওই ঝুঁকির প্রেক্ষাপটে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কমান্ডার ইন চিফ হিসাবে দায়িত্ব পালনের জন্য একমাত্র যোগ্য প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে হ্যারিসের নামই উল্লেখ করেছেন তারা। খবর বিডিনিউজের।
চিঠিটিতে সই করা এই সাবেক সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে আছেন– অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ল্যারি এলিস ও অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মাইকেল স্মিথ–সহ অন্যান্যরা। তারা সামরিক সদস্যদের নিয়ে ট্রাম্পের অপমানকর মন্তব্য এবং আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের আগে দিয়ে তার ‘বিশৃঙ্খল দৃষ্টিভঙ্গির” কথা তুলে ধরেছেন। তালেবানের সঙ্গে ট্রাম্পের করা একটি চুক্তির কথাও তারা উল্লেখ করেছেন, যে চুক্তির ফলে এই গোষ্ঠীর ৫ হাজার যোদ্ধা পুনরায় যুদ্ধক্ষেত্রে ফিরেছে। এর বিপরীতে সাবেক এই সামরিক কর্মকর্তারা হ্যারিস সম্পর্কে লিখেছেন, ‘তিনি (কমলা হ্যারিস) হোয়াইট হাউজের সিচুয়েশন রুম কিংবা আন্তর্জাতিক অঙ্গন– যে কোনও খানেই রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসন থেকে শুরু করে ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের সঙ্গে উত্তেজনার মতো জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সবচেয়ে কঠিন বিষয়গুলো সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে নিজের দক্ষতা দেখিয়েছেন। হ্যারিস এই নির্বাচনি দৌড়ে সর্বত্তোম এবং একমাত্র প্রেসিডেন্ট প্রার্থী যিনি আমাদের কমান্ডার ইন চিফ হিসাবে কাজ করার যোগ্য।’ চিঠিটি এঙে পোস্ট করেছে হ্যারিসের প্রচারশিবির।
ডেমোক্র্যাটিক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবারের নির্বাচনি দৌড়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের অবস্থানে আছেন। জনমত জরিপগুলোতে তেমনটিই দেখা যাচ্ছে। হ্যারিসকে সমর্থন দিয়ে সামরিক কর্মকর্তাদের সই করা চিঠিটি প্রকাশের একই সময়ে হ্যারিসের প্রচার শিবির ট্রাম্পের সঙ্গে তার মঙ্গলবার রাতের বিতর্কের আগে দিয়ে একটি নতুন বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে। এতে ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তাকে তার (ট্রাম্প) দ্বিতীয় মেয়াদকে দেশের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি হিসেবে উল্লেখ করে সতর্ক করতে দেখা গেছে। ২০১৬ সালে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি তার প্রশাসনে সেরা মানুষদের নিয়ে আসবেন। এখন সেই সাবেক কর্মকর্তারাই ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে অযোগ্য বলে অভিহিত করছেন।